কিস্তি দেয়ায় বিলম্ব হওয়ায় জেলার মান্দায় বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) আশ্রয় সতিহাট শাখার ম্যানেজার জুয়েলসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে এক স্কুল শিক্ষিকাকে কুপ্রস্তাব দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষিকা প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিতি অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আশ্রয় এনজিও সতিহাট শাখা থেকে গত ২০১৮ সালের ২৮ অক্টোবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষিকা পাঁচ লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। এরপর থেকে কিস্তির টাকা নিয়মিত পরিশোধ করে আসছিলেন তিনি। এ পর্যন্ত এক লাখ ৭২ হাজার ৫০০ টাকা পরিশোধ করেছেন।
কিন্তু করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ঈদুল ফিতরের আগে গত ২০ মে তার কাছ থেকে জোরপূর্বক কিস্তি আদায় করা হয়েছে। কিস্তি দেয়ায় বিলম্ব হওয়ায় তাকে ওই এনজিওর ম্যানেজার জুয়েল, মাঠকর্মী মোজাম্মেল হোসেন, এরিয়া ম্যানেজার শওকত আলী ও আরিফ হোসেন কুপ্রস্তাব দেন। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষিকা জানান, তিনি এনজিওর সব নিয়ম-কানুন মেনে ঋণের কিস্তি নিয়মিত পরিশোধ করতেন। কিন্তু বর্তমানে তার সাংসারিক অবস্থা খুব শোচনীয়। তিনি বাধ্য হয়ে তার নিজের ব্যবহৃত স্বর্ণের গহনা বিক্রি করে ও অন্যান্য জিনিসপত্র বন্ধক রেখে ঋণের কিস্তি নিয়মিত পরিশোধ করতে গিয়ে একেবারে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন।
এমতাবস্থায় এনজিও কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে করোনা পরিস্থিতিতে আগের ঋণের কিস্তিগুলো দ্রুত পরিশোধ করলে আবারও ঋণ দেয়া হবে। আর এজন্য তারা আমার কাছ থেকে কিস্তিগুলো আদায়ের জন্য বেশ পীড়াপীড়ি করছিলেন। তাদেরকে টাকা দিতে বিলম্ব হওয়ায় সতিহাট শাখার ম্যানেজার জুয়েল, মাঠকর্মী মোজাম্মেল হোসেন, এরিয়া ম্যানেজার শওকত আলী ও আরিফ হোসেন কুপ্রস্তাব দেন। অভিযুক্ত এনজিও ম্যানেজার জুয়েল এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। জেলা প্রশাসক হারুন অর রশীদ বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।