স্কুলের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার জন্য এনটিআরসিএ'র কর্মকর্তা পরিচয়ে কয়েকজন প্রধান শিক্ষকের কাছে চাঁদা দাবী করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার সিলেট অঞ্চলের একাধিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছে মোবাইল ফোনে চাঁদা দাবী করেন ইসমাইল হোসেন নামের এক ব্যক্তি। তিনি নিজেকে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা পরিচয় দেন।
ইসমাইল হোসেন তার +৮৮০১৭২০৮৪২৫৭৮ নম্বর মোবাইল ফোন থেকে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার সারিঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বদিউল আলমকে শুক্রবার সকাল ১১ টার দিকে প্রথম বার ফোন দেন। তিনি নিজেকে এনটিআরসি'র প্রশাসনিক কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য পাঁচ জন শিক্ষকের চাহিদা দিয়েছেন।শিক্ষক সঙ্কট রয়েছে তাই এনটিআরসি দুই জন শিক্ষক নিয়োগ দেবে। যদি আপনি আমার ফোনে পাঁচহাজার টাকা পাঠান তবে পাঁচজন শিক্ষকের ব্যবস্থা করে দেবো।’
এরপর সারাদিন পাচ সাতবার ফোন দেন। প্রধান শিক্ষক বদিউল আলম বিষয়টি তার বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শাহেদ আহমদকে জানান। শাহেদ ওই নম্বরে কথা বলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন। একথা শুনে ইসমাইল হোসেন ক্ষেপে গিয়ে বলেন, তিনি স্কুলটির অনেক ক্ষতি করবেন।’ ইসমাইল হোসেন প্রধান শিক্ষককে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘এনটিআরসি'তে বিভিন্ন অনলাইন কার্যক্রম করতে বিদ্যালয় যে পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে তা তিনি বদলে ফেলবেন।’
খোঁজ নিজে জানা যায় এই ইসমাইল সিলেটের জৈন্তাপুর, কানাইঘাট এবং সুনামগঞ্জের অনেক স্কুলের প্রধান শিক্ষককে এরকম ফোন দিয়েছেন।
উল্লেখ্য গত কয়েকদিন দিন পুর্বে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনলাইনে তাদের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের শুন্যপদের তালিকা ও চাহিদা প্রেরণ করেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চাহিদা অনুযায়ী এনটিআরসি নিবন্ধিত শিক্ষকদের নিয়োগ দিয়ে থাকে।
তবে, এনটিআরসিএতে ইসমাইল নামের কাউকে পাওয়া যায়নি।