বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) গত ২৪ জানুয়ারি সারা দেশে প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করেছে। সুপারিশপ্রাপ্তদের অনেকেই সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে যোগদান করার পর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মহিলা কোটা পূরণ না থাকায়, তারা এমপিওভুক্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারছেন না এবং এমপিও আবেদন করলেও তা বাতিল করা হচ্ছে ।
প্রতিষ্ঠান প্রধানদের চাহিদা প্রদানের সময় ভুল তথ্য প্রদান এবং নিয়োগ বাছাই প্রক্রিয়ায় হয়ত কিছু ত্রুটির কারণে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে মহিলা কোটা পূরণ না থাকা সত্ত্বেও এনটিআরসিএ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে পুরুষ শিক্ষক প্রার্থীদের নিয়োগের সুপারিশ করেন। মহিলা কোটা পূরণ না থাকার কারণে এমপিওভুক্তি না হওয়ায় নিজ জেলা থেকে দূরবর্তী জেলায় নিয়োগপ্রাপ্ত এসব শিক্ষক বিনা বেতনে পাঠদান করে যাচ্ছেন এবং চরম হতাশার মধ্যে ও আর্থিক সংকটে দিন যাপন করছেন।
এনটিআরসিএ কর্তৃক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর শিক্ষক প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদনের সময় মহিলা কোটার বিষয়ে অনলাইনে আবেদন পেজে কোনো অপশন ছিল না। যদি মহিলা কোটা পূরণ না হওয়ার কারণে এমপিওভুক্ত না হয় তাহলে এনটিআরসিএ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের সুপারিশ করল কেন?
আর প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কয়েক দফা সময় দেয়া হয়েছিল ভুল সংশোধন করার জন্য, কিন্তু তারা তা করেননি। প্রতিষ্ঠান প্রধানরা যদি একটা চাহিদাই ঠিকমতো দিতে না পারেন তাহলে তারা এত বড় একটা প্রতিষ্ঠান কীভাবে পরিচালনা করবেন? আর এর দায় কিন্তু জেলা শিক্ষা অফিসার এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসারও এড়াতে পারেন না। কারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্তৃক দাখিলকৃত ই-রিকুইজিশন সঠিক কিনা তা মনিটরিংয়ের দায়িত্ব উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদের দেয়া হয়। তাই অন্যের ভুলের এত বড় মাশুল কেন নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের দিতে হবে।
সুতরাং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ, ভুক্তভোগী শিক্ষকদের যেন দ্রুত অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে সুপারিশ অথবা মহিলা কোটা শিথিলকরণ এবং এই সমস্যা সমাধানে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, যাতে তাদের এমপিওভুক্তিকরণে কোনো সমস্যা না হয়, এজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি ।
লেখক: সহকারী শিক্ষক (কৃষি), বেতাগী, বরগুনা।