করোনার চিকিৎসায় যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রশাসন রেমডেসিভির ব্যবহারের অনুমোদন দেয়ার সপ্তাহখানেকের মধ্যেই বাংলাদেশে শুরু হয় এই ওষুধ তৈরির কাজ। ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড এটি উৎপাদন শুরু করেছে।
এসকেএফ’র পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে প্রস্তুতকৃত ওষুধের নমুনা রবিবার (১০ মে) ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ন্যাশনাল কন্ট্রোল ল্যাবরেটরিতে (এনসিএল) জমা দেয়া হবে। বিভিন্ন পর্যায়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এই ওষুধ অনুমোদন পেতে দুই সপ্তাহের মতো সময় লাগতে পারে। অনুমতি পেলে তবেই ওষুধটি বাজারে আসবে।
শুক্রবার এ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিজেদের প্রতিষ্ঠানের রেমডেসিভির উৎপাদনের খবরটি গণমাধ্যমে জানান, এসকেএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সিমিন হোসেন। তিনি জানান, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদনের পরই প্রতিষ্ঠানের ফর্মুলেশন বিজ্ঞানীরা মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে রেমডেসিভির নিয়ে কাজ শুরু করেন। দুই মাস ধরে কাজ করে অবশেষে রেমডেসিভির উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে।
এদিকে জানা যায়, আগামী সপ্তাহ থেকেই ইনসেপ্টা এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসও রেমডেসিভির উৎপাদনে যাচ্ছে। এছাড়া স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ও বিকন ফার্মাসিউটিক্যালসহ কয়েকটি দেশি প্রতিষ্ঠান এই ওষুধ উৎপাদনের সরকারি অনুমতি পেয়েছে।
ওষুধের প্রাপ্যতা প্রসঙ্গে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহাবুবুর রহমান জানান, নিয়ন্ত্রিতভাবে এই ওষুধ বাজারে ছাড়া হবে। শুরুর দিকে শুধু সরকারি হাসপাতালগুলোতে এবং বেসরকারি পর্যায়ে বাজারজাতকরণের অনুমোদন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
যেহেতু বিভিন্ন জায়গায় এই ওষুধের প্রয়োজন হবে, তাই সীমিত পরিসরে এর যোগান দিলে হয়তো অনেক মানুষই ওষুধ পাবেন না। তাই এটি বাজারজাতকরণের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তবে কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এই ওষুধ বিক্রি করা যাবে না।