স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) আমিনুল হাসানকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ বুধবার (২২ জুলাই) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে এই তথ্য জানান।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘তিনি (আমিনুল হাসান) আর এই পদে থাকছেন না, এটি নিশ্চিত। আজকের মধ্যেই বিষয়টি চূড়ান্ত হয়ে যাবে।’
বিতর্কের মুখে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ গতকাল মঙ্গলবার পদত্যাগ করেন। তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়। চুক্তিতে থাকা আবুল কালাম আজাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
সরকারি সূত্রগুলো বলছে, আবুল কালাম আজাদের চলে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েই ছিল। অপসারিত হওয়ার চেয়ে পদত্যাগ সম্মানজনক। আবুল কালাম আজাদ পদত্যাগের সুযোগ নিয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ সব সময় ছিল। করোনা মহামারির সময় এসব অভিযোগ আরও বড় আকারে দেখা দেয়। স্পষ্ট হয়ে ওঠে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের অদক্ষতা, ব্যর্থতা। জেকেজি ও রিজেন্টের দুর্নীতিতে মানুষ হতবাক হয়। কিছু মানুষ মনে করে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জড়িত না থাকলে এই মাত্রার দুর্নীতি করা সম্ভব না। কিছু মানুষ মনে করে, দুর্নীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত না থাকলেও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা দায় এড়াতে পারেন না।