জাতীয় সংসদে পাঁচবার আটঘরিয়া-ঈশ্বরদীর (পাবনা-৪) মানুষের প্রতিনিধিত্ব করা এই রাজনীতিবিদ আমৃত্যু পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।
শামসুর রহমান শরীফের ছেলে গালিবুর রহমান শরীফ জানান, ঢাকা ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার ভোর রাত পৌনে ৪টার তার বাবার মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।
একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা প্রবীণ এই আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ইউনাইটেড হাসপাতালের যোগাযোগ ও ব্যবসা উন্নয়ন শাখার প্রধান ডা. সাগুফা আনোয়ার জানান, গত ১১ মার্চ থেকে এ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন সাংসদ শামসুর রহমান শরীফ। বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় তিনি ভুগছিলেন।
পরিবারের সদস্যরা সকাল সোয়া ৯টার দিকে এই রাজনীতিবিদের মরদেহ নিয়ে পাবনার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন বলে সাগুফা আনোয়ার জানান।
১৯৪১ সালের ১২ মার্চ পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের চর শানিরদিয়াঢ় গ্রামে মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন শামসুর রহমান শরীফ। তার বাবার বাড়ি ঈশ্বরদী উপজেলার লক্ষ্মীকুণ্ডা ইউনিয়নের লক্ষ্মীকুণ্ডা গ্রামে।
পাবনা জেলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক, এডওয়ার্ড কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট করার পর একই কলেজ থেকে ১৯৬২ সালে গ্রাজুয়েশন করেন শামসুর রহমান শরীফ ডিলু। রাজনীতিতে তার হাতেখড়ি হয় ছেলেবেলাতেই।
ভাষা আন্দোলনের উত্তাল সময়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় শামসুর রহমান ডিলুকে গ্রেপ্তার হতে হয়েছিল ভাষার দাবিতে মিছিলে যোগ দেওয়ার কারণে।