নেত্রকোণার নারী সাংসদ হাবিবা রহমান খান। এমপি হওয়ার আগে থেকেই তিনি নেত্রকোণা সদরের চন্দ্রনাথ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। এমপিওভুক্ত তিনি। একাদশ সংসদে সংরক্ষিত নারী এমপি হিসেবে হাবিবা শপথ নেন ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ২০ ফেব্রুয়ারি।
গত বছরের ১০ এপ্রিল তাকে সংবর্ধনা দেন স্থানীয় শিক্ষকরা। সাথে ছিলেন বেসরকারি শিক্ষক ফোরাম নামে একটি সংগঠনের কয়েকজন নেতা। সংবর্ধনার জবাবে হাবিবা রহমান বলেছিলেন, তিনি বেসরকারি শিক্ষকদের সঙ্গে ছিলেন এবং থাকবেন, বেসরকারি শিক্ষকদের জন্য সম্ভব সবকিছু করবেন। তবে, গত এক বছরের বেশি সময়ে বেসরকারি শিক্ষকদের জন্য বিশেষ কিছু করেছেন বলে জানা যায় না।
দৈনিক শিক্ষার অনুসন্ধানে জানা যায়, তার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে এখনও প্রতিমাসে এমপিও (বেতন-ভাতার সরারি অংশ) যায়। প্রধান শিক্ষক হিসেবে তিনি প্রতিমাসে এমপিও বাবদ সরকারের কোষাগার থেকে পান ৩৩ হাজার ৪৮০ টাকা। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এই এমপিওর টাকা প্রতিমাসে পাঠায়। একজন মাননীয় সংসদ সদস্য হিসেবে হাবিবা রহমান মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে একটা ফোন করে বলে দিলেই তার হিসেবে এমপিওর টাকা পাঠানো বন্ধ হয়। কিন্তু তিনি সেটা করছেন না। প্রধান শিক্ষক হাবিবা রহমান খানসহ চন্দ্রনাথ উচ্চবিদ্যালয়ের মোট ১৬ জনের নামে মার্চ মাসের এমপিওর টাকা গত ৫ এপ্রিল অগ্রনী ব্যাংক নেত্রকোণা শাখায় পাঠিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর।
সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি বেতন-ভাতাসহ সব ধরণের সুবিধা পান। এমপিও নীতিমালায় বলা আছে, এমপিওভুক্ত থাকলে অন্য কোথাও থেকে বেতন-ভাতা নিতে পারবেন না।
সাধারণ নিয়মেও এক ব্যক্তির একই সময়ে সরকারি কোষাগার থেকে দুই পদের বিপরীতে বেতন-ভাতা নেয়া বিধিসম্মত নয়।