দ্বিতীয় চক্রের ২য় ধাপে এমপিও পদের এক হাজার ছয়শ তিনজন প্রার্থীকে সুপারিশ করছে এনটিআরসিএ। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) এনটিআরসিএর থেকে প্রথম দফায় এসব এমপিও পদে প্রার্থীদের দ্বিতীয় ধাপের সুপারিশ করা হয়। খুব শিগগিরই দ্বিতীয় দফায় ননএমপিও পদগুলোতে প্রাার্থীদের সুপারিশ করা হবে। এনটিআরসিএ সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
চলতি বছরের শুরুতে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩১ হাজারের বেশি শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। যেসব প্রার্থী ওই নিয়োগ সুপারিশের প্রেক্ষিতে যোগদান করেনি, সেসব শূন্য পদে নিয়োগের দ্বিতীয় চক্রের ২য় ধাপের সুপারিশ করা হল।
জানা গেছে, http://ngi.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটে ১ নভেম্বর বিকেল ৩টা থেকে প্রার্থীরা দ্বিতীয় সুপারিশের তালিকা দেখতে পাবেন। এছাড়া সুপারিশপ্রাপ্তদের এসএমএসের মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হবে।
জানা গেছে, গত ডিসেম্বরে প্রকাশিত গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী প্রার্থীদের করা প্রতিষ্ঠানভিত্তিক আবেদনগুলোর মধ্য থেকেই দ্বিতীয় দফায় নিয়োগ সুপারিশ করা হয়েছে। কোনো প্রার্থী যদি যোগদান না করে থাকেন তাহলে সেই শূন্যপদে মেধাতালিকায় এগিয়ে থাকা ওই প্রতিষ্ঠানে পরবর্তী আবেদনকারী প্রার্থী সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছেন।
এনটিআরসিএর এ কর্মকর্তা জানান, প্রায় ৪ হাজার পদ যেগুলোতে প্রার্থী সুপারিশ করা হলেও যোগদান করেননি। সেসব পদে নিয়োগ সুপারিশ করা হবে। তবে, প্রায় ৯০০টি পদের বিপরিতে মামলা হওয়ায় সেগুলো স্থগিত রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নিয়োগের সুপারিশ প্রক্রিয়াকে প্রথম চক্র হিসেবে আখ্যায়িত করছে এনটিআরসিএ। আর ২০১৮ খ্রিস্টাব্দের নিয়োগ সুপারশি প্রক্রিয়াকে বলা হচ্ছে দ্বিতীয় চক্র। ২য় চাক্রের ১ম ধাপের নিয়োগ সুপারিশ অনুযায়ী কোনো প্রার্থী যদি যোগদান না করে সেই শূন্য পদে ২য় ধাপে নিয়োগ সুপারিশ করা হবে।
এনটিআরসিএ সূত্র জানায়, যোগদানে বাধার বিষয়ে নীতিমালায় শাস্তির কথা উল্লেখ রয়েছে। সুপারিশপ্রাপ্তদের যোগদান বাধাগ্রস্থ হলে এনটিআরসিএকে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো প্রতিষ্ঠান প্রার্থীদের যোগদান করতে না দিলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে জানাতে হবে।