এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনভাতা রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে দেওয়া হয়। প্রতিমাসে শিক্ষকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ থেকে সরাসরি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজ-মাদরাসাগুলোতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন-টিউশন ফি আদায় এখনো অব্যাহত আছে।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রতিমাসে বেতন নেওয়ার প্রথা চালু হয় শিক্ষকদের সম্মানী দেওয়ার জন্য। এরপর গত ৩০ বছরে একে একে যুক্ত হয় ভর্তি ফি, উন্নয়ন ফি, টিউশন ফি। নোট বই, গাইড বই, ডায়েরি, ক্যালেন্ডার, স্কুলের নাম খোদাই করা খাতার নামে কয়েক হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। শুক্রবার দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়। নিবন্ধনটি লিখেছেন ওমর আলী।
স্কুল ড্রেস, জেএসসি-এসএসসি রেজিস্ট্রেশন, ফরম ফিলাপ, খেলার চাঁদা, মিলাদের চাঁদা, পিকনিক, ক্লাস পার্টি ও কোচিংসহ নানান খাতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিনা রশিদে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। রেজিস্ট্র্রেশন ফরম পূরণের জন্য জন্য শিক্ষা বোর্ড নির্ধারিত ফিয়ের তিন-চার গুণ বেশি টাকা আদায় করা হচ্ছে। বছরের পর বছর ধরে চলছে এই বাণিজ্য।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের কোনো বেতন না থাকায় সেখানে এধরনের আর্থিক অনিয়মের কোনো অভিযোগ নেই। এ ব্যাপারে শীগগির ব্যবস্থা নিতে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
লেখক : লালমাটিয়া, ঢাকা