এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যখন ম্যানেজিং কমিটির মিটিং হয়, তখন সচিব হিসেবে প্রধানশিক্ষক একা মিটিং ডাকেন। প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক অনেক বিষয় থাকে, যা প্রশাসনের একজন সম্পূর্ণ উপস্থাপন করতে পারেন না। এদিকে সহকারী শিক্ষক থেকে যাঁরা শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে কমিটির সদস্য হিসেবে থাকেন, তাঁদের ভাব-সাব এমন যেন তাঁরা প্রধানশিক্ষকের সমকক্ষ এবং প্রধানশিক্ষক কোণঠাসা হয়ে পড়েন তাঁদের কাছে।
এ পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানের সকল সমস্যা আলোচনায় আসে না। চেইন অব কমান্ড নষ্ট হয়। অনেক সময় গোপনীয়তার দোহাই দিয়ে মিটিংয়ের রেজুলেশন বহি সহ-প্রধানশিক্ষকদের দেখানো হয় না। অপরদিকে পদ না থাকায় (ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা হিসেবে) সহ-প্রধানশিক্ষক মিটিংয়ে উপস্থিত থাকতে ইতস্তত বোধ করেন।
সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, প্রধানশিক্ষক ছুটিতে থাকলে বা অবসরে গেলে সহ-প্রধানশিক্ষক প্রতিষ্ঠান চালাতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন, রেজুলেশন সিদ্ধান্ত অবগত না হওয়ার জন্য। সুতরাং প্রতিষ্ঠানের বৃহত্ স্বার্থে সহকারী প্রধানশিক্ষকের জন্য ম্যানেজিং কমিটিতে সহকারী সচিব পদ সৃষ্টির জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বোর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত আবেদন জানাচ্ছি।
লেখক: গোলাম কিবরিয়া, নিশাতনগর, টঙ্গী, গাজীপুর