৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট ও বৈশাখী ভাতাসহ এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণের জোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরাম। বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরামের মুখপাত্র মো. নজরুল ইসলাম রনি এবং বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির মহাসচিব মোঃ রবিউল আলম স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গত ১০ জানুয়ারি থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের অবস্থান ধর্মঘট ও আমরণ অনশনে সরকারের পক্ষ থেকে বার্ষিক ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট ও বৈশাখী ভাতা শীঘ্রই বাস্তাবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অনশনরত শিক্ষকদের শ্রেণিকক্ষে ফেরত পাঠালেও দীর্ঘ নয় মাসে সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হয়নি। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী খুব শীঘ্রই শিক্ষকদের ন্যায্য দাবিগুলো মেনে নেবেন এমনটি এখনো বিশ্বাস করে শিক্ষা সমাজ।
বিবৃতিতে ৫ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী ও তাদের পরিবারকে উদ্বেগ ও উৎকন্ঠায় না রেখে অতিদ্রুত ৫ শতাংশ বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট ও বৈশাখী ভাতাসহ এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জোর দাবি জানান শিক্ষক নেতারা।
বিবৃতিতে অন্যদের মধ্যে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি মো. মিজানুর রহমান, সহসভাপতি মো. এনামুল হক, অতিরিক্ত মহাসচিব মো. কামরুল খান, যুগ্মমহাসচিব মো. আবুল হোসেন মিলন, সাংগঠনিক সচিব মো. মেজবাহুল ইসলাম, কেন্দীয় নেতা মো. শাহীন শিকদার বিপ্লব, লিয়াজোঁ ফোরামের অন্যতম আহবায়ক মো. অলিউর রহমান, মোঃ সিরাজুল ইসলাম, মো. নজরুল ইসলাম, মোঃ আনোয়ার হোসেন মিঞা, লিয়াজোঁ ফোরামের উপদেষ্টা মো. ফিরোজ মিয়া, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি মঞ্জুরুল আমিন শেখর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্মচারী ফেডারেশনের সম্পাদক মো. বেলায়েত হোসেন প্রমুখ।