য় মাস ধরে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না জামালপুরের বকশীগঞ্জের চন্দ্রাবাজ রশিদা বেগম স্কুল অ্যান্ড কলেজের এমপিওভুক্ত ২৮ জন শিক্ষক। ফলে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা।
জানা যায়, বকশীগঞ্জ চন্দ্রাবাজ রশিদা বেগম স্কুল অ্যান্ড কলেজের মোট এমপিওভুক্ত শিক্ষক সংখ্যা ২৮ জন। শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় চার হাজার। চন্দ্রাবাজ রশিদা বেগম স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালনা কমিটির মেয়াদ শেষ হয় ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে। মেয়াদ শেষে নতুন কমিটি অনুমোদনের জন্য ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ১২ ডিসেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে একটি কমিটি জমা দেন প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বোর্ড কর্তৃপক্ষ নতুন কমিটির অনুমোদন দেননি।
কমিটির অনুমোদন না হওয়ায় অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম হাইকোর্টে রিট করেন। রিট আবেদন শুনানি শেষে চলতি বছরের ১৩ মার্চ কমিটি অনুমোদনের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশের পরেও নতুন ম্যানেজিং কমিটি অনুমোদন হয়নি। ফলে কমিটি শূন্য হয়ে পড়ে চন্দ্রাবাজ রশিদা বেগম স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
কমিটি না থাকায় বিগত ছয় মাস যাবৎ এমপিওভুক্ত ২৮ জন শিক্ষক বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। শিক্ষক-কর্মচারীরা মানবেতর জীবনযাপন করছে। ইতোমধ্যে বকেয়া বেতন-ভাতা ও ম্যানেজিং কমিটি অনুমোদনের দাবিতে মানববন্ধন ও অনশন কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। কিন্তু সমাধান হয়নি।
অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিধি মোতাবেক কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজিং কমিটি না থাকলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সমন্বয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদান করেন। কিন্তু উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ছানোয়ার হোসেন শিক্ষক-কর্মচারীদের বিলে সুপারিশ করছেন না। তাই বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না শিক্ষকরা।
মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ছানোয়ার হোসেন জানান, শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতার কাগজে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কোনো স্বাক্ষর বা সুপারিশ লাগে না। এ ছাড়া বিষয়টি আমি অবগত না।