এমপিওভুক্তির আবেদন প্রক্রিয়াকরণে ঢাকা অঞ্চলের উপ-পরিচালক গৌর মন্ডলের দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতায় ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ মাহাবুবুর রহমান ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোঃ আবদুল্লাহ আল মামুন। গত ২৮ মে শিক্ষা অধিদপ্তরের সভাকক্ষে আয়োজিত মে মাসের এমপিওভুক্তির সভায় মহাপরিচালক ও উপ-সচিব গৌর চন্দ্র মন্ডলের ওপর বেজায় চটেছেন। ঢাকা অঞ্চলকে বাদ দিয়েই মে মাসের এমপিওর আবেদন প্রক্রিয়াকরণের পর্যায়ে পৌঁছেছিল। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক কর্মকর্তা দৈনিকশিক্ষাকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
পদাধিকার বলে এমপিও কমিটির সভাপতি মহাপরিচালক বলেন, “ঢাকার ডিডি গৌরর কাজের দীর্ঘসূত্রতায় এমপিও সফটওয়্যারের ড্যাসবোর্ডের চিত্রটি ভেরি পেইনফুল।” গৌরর বিরুদ্ধে নালিশ শুনতে শুনতে মাঝে মাঝে প্রেসার বেড়ে যায়।
জানা যায়, ঢাকা অঞ্চলে মে মাসে মোট ৮০৪টি আবেদন। এর মধ্যে গৃহীত ৪৫৮টি ও বাতিল ৩৪৬টি। ড্যাস বোর্ড অনুযায়ী ৩১ থেকে ৬০ দিন পর্যন্ত ১২টি আবেদন জমা। ৬১ থেকে ১২০ দিন ধরে জমা রয়েছে ২৬টি। ১২১দিন খেকে ৩৬৫ দিন পর্যন্ত জমা থাকা আবেদন ৩২টি এবং এক বছরেরও বেশি সময় যাবত জমা রয়েছে ৩টি।
এমপিও কমিটির সদস্য হিসেবে সভায় উপস্থিত উপ-সচিব মোঃ আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, “ঢাকার ডিডি গৌর অনেক দূর্নাম কুড়িয়েছেন। ঢাকার নানা দূর্নীতির তথ্য পাওয়া যায়। দায়িত্ব পালনের জন্য আর কি কোনও যোগ্য লোক পাওয়া যাচ্ছে না?”
সভায় প্রশ্নবানে বিদ্ধ গৌর সভাকে বলেন, “আবেদন যাচাই-বাছাই করার সময়ে দিনরাত খেটে কাজ করেন। ফলে রিজেক্ট এর ক্ষেত্রে মন্তব্যসহ ফেরত পাঠাতে হলে একটু সময় লাগে বিধায় এমপিও সভার পরে মতামত প্রদান করে ফেরত পাঠানো হয়। যারা এমপিও সভার আগে এই কাজটি নিষ্পন্ন করতে পারে তারা অতিমানব “
ঢাকার একটি কলেজে জ্যেষ্ঠ ১ম জনকে বাদ দিয়ে ২য় ও ৩য় জ্যেষ্ঠকে এপি স্কেল প্রদান করা হয়েছে মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এছাড়াও এমপিও আবেদন প্রক্রিয়াকরণের শেষ দিনে গভীর রাত অব্দি এমপিওপ্রত্যাশী নারী-পুরুষ শিক্ষকদের ডিডি অফিসে বসিয়ে রাখা হয়। এমপিওর আবেদন প্রক্রিয়াকরণের শেষদিনের দুই থেকে তিনদিন আগে কাজ শুরু করেন গৌর। এরপর শেষ সময়ে গিয়ে বলেন আরো সময় বাড়িয়ে দেয়া প্রয়োজন। এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
শিক্ষক সমিতির নেতা ও রাজধানীর মিরপুর সিদ্ধান্ত হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মো: নজরুল ইসলাম রনি দৈনিকশিক্ষাকে বলেন, গৌর মন্ডলের দুর্ব্যবহারে শিক্ষক-কর্মচারীরা অতিষ্ঠ। সরকারি হাইস্কুলের শিক্ষক হওয়ায় গৌর এমপিও সম্পর্কে কিছুই বোঝে না। অতি দ্রুত গৌরকে সরিয়ে প্রেষণে এমপিভুক্ত কোনো অভিজ্ঞ শিক্ষকদের ডিডি পদে বসানোর আহ্বান জানান নজরুল ইসলাম রনি।