সরকারের আর্থিক সক্ষমতার কথা চিন্তা করে চলতি বছর নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তি থেকে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন বিজনেস ম্যানেজমেন্ট (বিএম) কলেজগুলোকে বাদ দেওয়া হচ্ছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়েছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। এরই মধ্যে তারা প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তৃতা-বিবৃতি দিতে শুরু করেছেন। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সমকাল পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মুনশী শাহাব উদ্দীন গতকাল শনিবার বিকেলে জানান, এ ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এখনও যাচাই-বাছাই চলছে। এমপিও দেওয়ার জন্যই তো আমরা তাদের আবেদন নিয়েছি।
দেশের একাধিক বিএম কলেজের শিক্ষকরা জানান, তারা খবর পেয়েছেন যে, অর্থ সংকটের কারণে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ বিএম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে এখনই এমপিওভুক্ত না করার চিন্তাভাবনা করছে। এমপিওভুক্তির বিষয়ে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার মঙ্গলবার বলেন, কোনো ধরনের প্রতিষ্ঠান বাদ দিয়ে নয়, বরং সব নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্তির দাবি তাদের।
শিক্ষকদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, দেশে মোট সরকারি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বিএম কলেজ রয়েছে ১ হাজার ৮৭৫টি। এর মধ্যে প্রায় ৭০০ প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত। বাকি ১ হাজার ১৭৫টি নন-এমপিও। বিএম স্তরে দুই লাখের বেশি শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে।
গত বছরের আগস্ট মাসে নন-এমপিও বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ। নীতিমালা অনুযায়ী বাছাই প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়েছে। এমপিওভুক্তির চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সর্বশেষ ২০১০ সালে ১ হাজার ৬২৪টি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছিল। এরপর থেকে এমপিওভুক্তি বন্ধ।