এমপিওভুক্তি নিয়ে সংসদ সদস্যদেরকে দেয়া শিক্ষামন্ত্রীর চিঠিতে যা আছে - দৈনিকশিক্ষা

এমপিওভুক্তি নিয়ে সংসদ সদস্যদেরকে দেয়া শিক্ষামন্ত্রীর চিঠিতে যা আছে

নিজস্ব প্রতিবেদক |

ভুল তথ্য দিয়ে এমপিওভুক্তির তালিকায় স্থান পাওয়ার প্রমাণ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। আর তথ্য সঠিক থাকলেই এমপিওভুক্তির আদেশ কার্যকর হবে। এমপিওভুক্তি নিয়ে দেশের সব সংসদ সদস্যের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এ তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী। প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির সিদ্ধান্তের জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা বোর্ড ও ব্যানবেইস থেকে সরবরাহ করা হয়েছিল, ১১ নভেম্বর দেয়া চিঠিতে এ কথা উল্লেখ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী। 

ইতোমধ্যে তথ্য যাচাইয়ে কমিটি গঠিত হয়েছে। কোন প্রতিষ্ঠান অসত্য তথ্যের ভিত্তিতে এমপিও তালিকায় স্থান পেয়েছে এমন প্রমাণ কমিটি পেলে তথ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জানা গেছে, নীতিমালা অনুসারে প্রথম দফায় গত ২৩ অক্টোবর ২ হাজার ৭৩০ ও ২য় দফায় গত ১২ নভেম্বর আরও ৬টি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির আদেশ জারি করা হয়। তবে, আদেশে শর্ত হিসেবে বলা হয়েছিল, যেসব তথ্যের আলোকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এমপিওভুক্ত করা হয়েছে, পরবর্তীতে কোনো তথ্য ভুল বা অসত্য হলে তথ্য দেয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তথ্যের সঠিকতা সাপেক্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তি আদেশ কার্যকর হবে।   

সে প্রেক্ষিতে নতুন এমপিওভুক্ত হওয়া প্রতিষ্ঠানের তথ্য যাচাই-বাছাই করতে ৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। স্কুল ও কলেজর দেয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করতে গঠিত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. গোলাম ফারুককে। ২০ কর্মদিবসের মধ্যে তারা সঠিকতা যাচাই করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠাবে। গত ২৩ অক্টোবর প্রকাশিত এমপিও তালিকায় স্থান পাওয়া এক হাজার ছয়শ পঞ্চাশটি স্কুল ও কলেজের তথ্য যাচাই করবে এই কমিটি। কমিটির সদস্য-সচিব করা হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (মাধ্যমিক) এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন উপযুক্ত প্রতিনিধিকেও রাখা হয়েছে কমিটিতে। কোন প্রতিষ্ঠান অসত্য তথ্য দিয়ে এমপিও তালিকায় স্থান পেয়েছে এমন প্রমাণ কমিটি পেলে তথ্য সরবরাহকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানা গেছে।   

এমপিওভুক্তি প্রসঙ্গে গত ১১ নভেম্বর সংসদ সদস্যদের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। চার পৃষ্ঠার চিঠির সাথে ২৬টি প্রতিষ্ঠানের নাম ও এমপিওভুক্তির যৌক্তিকতাসহ বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেছেন। চিঠিতে শিক্ষামন্ত্রী জানান, এমপিওভুক্তির জন্য বাছাইকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনীয় তথ্যাদি যেমন শিক্ষার্থী সংখ্যা পরীক্ষার্থীর সংখ্যা পাসের হার ও স্বীকৃতির মেয়াদ সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষা বোর্ড এবং ব্যানবেইস কর্তৃক সরবরাহ করা হয়েছে। এসব তথ্যের মধ্যে কোন ভুল প্রমাণ হলে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং প্রদানকৃত তথ্যের সঠিকতা পাওয়া সাপেক্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির আদেশ কার্যকর করা হবে। এমপিওভুক্তির তালিকায় ভুল নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে ‘বিভ্রান্ত’ না হওয়ারও অনুরোধ করেছেন মন্ত্রী। 

নতুন এমপিওভুক্তির মধ্যে নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় ৪৩৯টি, ৬ষ্ঠ-১০ম শ্রেণির মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১০৮টি, ৯ম-১০ম শ্রেণির মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৮৮৭টি, স্কুল অ্যান্ড কলেজ ৬৮টি, উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ ৯৩টি এবং ডিগ্রি কলেজ ৫৬টি। আর এমপিওভুক্ত মাদরাসার মধ্যে দাখিল মাদরাসা সংখ্যা ৩৫৮টি, আলিম মাদরাসার সংখ্যা ১২৮টি, ফাযিল মাদরাসা ৪২টি ও কামিল মাদরাসা ২৯টি। নতুন এমপিওভুক্ত কারিগরি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কৃষি ৬২টি, ভোকেশনাল স্বতন্ত্র ৪৮টি, ভোকেশনাল সংযুক্ত ১২৯টি, বিএম স্বতন্ত্র ১৭৫টি ও বিএম সংযুক্ত ১০৮টি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হচ্ছে।

ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা: শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কার - dainik shiksha ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা: শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা: শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কার - dainik shiksha ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা: শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কার অবন্তিকার আত্মহত্যা: সাতদিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্নের আশ্বাস জবি উপাচার্যের - dainik shiksha অবন্তিকার আত্মহত্যা: সাতদিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্নের আশ্বাস জবি উপাচার্যের হয়রানির প্রতিকার চেয়েও ফল পাননি অবন্তিকা, অভিযোগ মায়ের - dainik shiksha হয়রানির প্রতিকার চেয়েও ফল পাননি অবন্তিকা, অভিযোগ মায়ের নতুন শিক্ষাক্রম: শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট না পড়লে মিলছে না মূল্যায়ন - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রম: শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট না পড়লে মিলছে না মূল্যায়ন মূল্যায়ন বুঝলেও নৈপুণ্য অ্যাপে চ্যালেঞ্জের মুখে শিক্ষকরা - dainik shiksha মূল্যায়ন বুঝলেও নৈপুণ্য অ্যাপে চ্যালেঞ্জের মুখে শিক্ষকরা ‘পড়তে ও লিখতে’ শেখা প্রকল্প কেনো - dainik shiksha ‘পড়তে ও লিখতে’ শেখা প্রকল্প কেনো please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0045278072357178