মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য অনলাইনে আবেদন নেয়া শুরু হয়েছে আজ রবিবার (২৬ আগস্ট)। আবেদন চলবে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। প্রতিষ্ঠানের যোগ্যতা অনুসারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ক্রমিক সাজাবে সফটওয়্যার। এরপর কতগুলো প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হবে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সে তালিকা করা হবে। কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত-সচিব (প্রশাসন ও উন্নয়ন) এ. কে. এম. জাকির হোসেন ভুঞা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ৫ আগস্ট থেকে ননএমপিও সাধারণ স্কুল ও কলেজ এমপিওভুক্তির আবেদন নেয়া শুরু হয় । শেষ হয় ২০ আগস্ট।
আবেদন করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গ্রেডিং করার জন্য প্রয়োজনীয় তথা শিক্ষার্থীর সংখ্যা, পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ও পাসের হারসহ বিভিন্ন তথ্য ব্যানবেইস ও শিক্ষা বোর্ডের ডাটা বেইস থেকে ইমপুট করা হবে। এসব তথ্যের ভিত্তিতে এমপিও নীতিমালার শর্তানুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গ্রেডিং তালিকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি করা হবে।
বর্তমানে সারাদেশে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত হাজার হাজার ননএমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে। ২০১০ খ্রিস্টাব্দের পর নতুন করে আর কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়নি। এমপিওভুক্ত হলে শিক্ষক-কর্মচারীরা মূল বেতনসহ কিছু ভাতা সরকার থেকে পান। এর নাম এমপিও। গত বছরের ডিসেম্বর ও চলতি বছরের জানুয়ারির শুরুতে এসব শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আমরণ অনশনসহ লাগাতার কর্মসূচি শুরু করেছিলেন। তখন একপর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তাঁর তৎকালীন একান্ত সচিব সাজ্জাদুল হাসান সেখানে গিয়ে এমপিওভুক্তির আশ্বাস দিলে আন্দোলন স্থগিত করা হয়। কিন্তু অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের যে বাজেট বক্তৃতা দেন, সেখানে নতুন এমপিওভুক্তির বিষয়ে স্পষ্ট বক্তব্য না থাকায় শিক্ষক-কর্মচারীরা ফের আন্দোলনে নামেন।
দেশের স্বীকৃতি পাওয়া সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবিতে গত ২৫ জুন থেকে আমরণ অনশন করে আসছিলেন এই শিক্ষক-কর্মচারীরা। এর আগে গত ১০ জুন থেকে একই জায়গায় তাঁরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন। ১১ জুলাই বেলা তিনটার পরপর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কের উত্তর পাশে বিশিষ্ট নাগরিকেরা উপস্থিত হয়ে শিক্ষকদের অনুরোধ করলে তাঁরা অনশন ভাঙেন।