শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও সদ্য সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক পদেও আছেন। ২০০৯ থেকে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত দুই মেয়াদে টানা দশ বছর শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন নাহিদ। ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দের ৬ জানুয়ারি তাঁকে শিক্ষা ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়। একই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে তার কাছ থেকে গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় নিয়ে নেয়া হয়। ছয় বছর বিরতির পর ২০১০ খ্রিষ্টাব্দে এক হাজারের বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়। তালিকা প্রকাশের পর নানা সমালোচনা ও হইচই হয়। তালিকা তৈরি করেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা কিন্তু সমালোচনা শুনতে হয় শুধু শিক্ষামন্ত্রী নাহিদকে। তালিকায় ভুলের দায়ে সহকর্মীদের তীব্র সমালোচনা, এমপিওবঞ্চিতদের সড়ক অবরোধ, পুলিশের লাঠিচার্জ, সংবাদপত্র ও শিক্ষাবিদদের কড়া সমালোচনা সহ্য করা ছাড়াও নানা তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে নাহিদের। তাঁর মন্ত্রীত্বকালে আর এমপিওভুক্ত হয়নি। তবে, ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে এমপিওভুক্তির নীতিমালা তৈরি করে যান। ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পান দীপু মনি। নাহিদের করা এমপিও নীতিমালার ভিত্তিতে দুই হাজার সাতশ ত্রিশটি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়। নয় বছরের ব্যবধানে গত ২৩ অক্টোবর তালিকা প্রকাশের পর বেশ কিছু ভুল ও অসঙ্গতি ধরা পড়ে। এবারও কর্মকর্তারা তালিকা তৈরি করেন কিন্তু সমালোচনা শুনতে হচ্ছে শুধু মন্ত্রীকে।
দুই আমলের দুই তালিকাকে কেন্দ্র করে সংগঠিত নানা ঘটনা নিয়ে একটি তুলনামূলক চিত্র পাঠকের সামনে তুলে ধরছে শিক্ষা বিষয়ক দেশের একমাত্র পত্রিকা দৈনিক শিক্ষাডটকম। দৈনিক শিক্ষার নিজস্ব আর্কাইভে সংরক্ষিত বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও অন্যান্য সূত্রের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে তুলনামূলক চিত্রটি।