এমপিওভুক্তির জন্য বাজেটে বরাদ্দ চান শিক্ষকরা - দৈনিকশিক্ষা

এমপিওভুক্তির জন্য বাজেটে বরাদ্দ চান শিক্ষকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক |

ননএমপিও শিক্ষকদের দাবি-- এখনো প্রায় সাত হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নন-এমপিও রয়ে গেছে। এ ছাড়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসাগুলো এমপিওভুক্তির জন্য প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি রয়েছে। ফলে চলতি অর্থবছরের মতো আগামী বাজেটেও এমপিওভুক্তি চলমান রাখার দাবি জানাচ্ছেন শিক্ষকরা। 

একইসঙ্গে চিকিৎসা ভাতা ও বাড়িভাড়া বৃদ্ধি, পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা প্রদান, উচ্চতর বেতন গ্রেড প্রদানসহ একগুচ্ছ দাবি রয়েছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের। তবে সামগ্রিকভাবে শিক্ষাব্যবস্থাই জাতীয়করণের দাবি তুলেছেন শিক্ষকরা। পর্যায়ক্রমে হলেও আগামী বাজেটেই এসব দাবির প্রতিফলন দেখতে চান তাঁরা। দৈনিক শিক্ষার নিয়মিত লাইভে অংশ নিয়ে তারা এসব দাবি তুলছেন। এছাড়া ইমেইল, টেলিফোন ও বিবৃতি দিয়েও এমপিওভুক্তির জন্য বাজেটে বরাদ্দের দাবি জানাচ্ছেন তারা।   

বাংলাদেশ অধ্যক্ষ পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ মাজরুল হান্নান বলেন, শিক্ষায় করোনার ক্ষতি মোকাবেলায় আমরা প্রয়োজনীয় বরাদ্দের দাবি জানাই। এছাড়া এমপিওভুক্তির জন্য যদি যোগ্য প্রতিষ্ঠান থাকে তাহলে অবশ্যই তাদেরকে এমপিওভুক্ত করার জন্য বাজেটে বরাদ্দ রাখতে হবে। তবে, সব সমস্যার সমাধান একযোগে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের ঘোষণা।’

বাংলাদেশ নন-এমপিও শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের আওয়ামী লীগপন্থী অংশের কেন্দ্রীয় নেতা সরদার শাহ আলম  বলেন, ‘চলতি অর্থবছরে প্রায় দুই হাজার ছয়শ প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হলেও বরাদ্দকৃত টাকার পুরোটা ব্যয় হয়নি বলেই বিভিন্ন সূত্রে শুনেছি। অথচ শর্ত শিথিল করলে এই টাকায় চলতি অর্থবছরেই আরো কিছু প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি করা সম্ভব হতো। আগামী বাজেটে নন-এমপিও সব প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য বরাদ্দ থাকবে এটাই বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার কাছে আমাদের প্রত্যাশা।’

জানা যায়, প্রতিবছর বাজেটের আগে শিক্ষকরা তাঁদের দাবিদাওয়া নিয়ে রাজপথে সরব থাকেন। এবার করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে তা দেখা যায়নি। তবে শিক্ষকরা তাদের একমাত্র প্লাটফর্ম দৈনিক শিক্ষার ফেসবুক লাইভে অংশ নিয়ে এবং মতামত কলামে মতামত লিখে ঠিকই সরব আছেন। সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের কাছে তাঁদের দাবিদাওয়াসংবলিত স্মারকলিপি বা চিঠি পৌঁছে দিচ্ছেন।

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (নজরুল) অংশের সভাপতি নজরুল ইসলাম রনি গত সপ্তাহে ‘এমপিওভুক্ত ও নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের শিক্ষামন্ত্রী, উপমন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতিসহ অন্যান্য নীতিনির্ধারকদের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। 

বেসরকারি কলেজ অনার্স মাস্টার্স শিক্ষক ফোরামের নেতা মনিরুজ্জামান মোড়ল বলেন, ‘দীর্ঘ ২৮ বছরেও আমাদের জনবল কাঠামো এমপিও নীতিমালার অন্তর্ভুক্ত না থাকার কারণে আমরা প্রতিষ্ঠান ও সরকারের আর্থিক সুবিধাবঞ্চিত।  আমাদের পাঁচ হাজার শিক্ষকের এমপিওভুক্তির জন্য এমপিও নীতিমালা সংশোধনের পাশাপাশি আগামী বাজেটেই আমরা প্রয়োজনীয় বরাদ্দ চাই।’

জানা যায়, বর্তমানে এক হাজার ৫১৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার প্রধান শিক্ষকরা দুই হাজার ৫০০ টাকা ও সহকারী শিক্ষকরা দুই হাজার ৩০০ টাকা ভাতা পান। তবে বর্তমানে এই মাদরাসার সংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজার। চলতি অর্থবছরে এসব মাদরাসা এমপিওভুক্তির জন্য প্রধানমন্ত্রীর নীতিগত অনুমোদনের পর ৩১১ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়। কিন্তু মাদরাসার সংখ্যা নিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ শেষ না হওয়ায় এবার এমপিওভুক্তির কাজ শেষ করতে পারেনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষক নেতা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষার মতোই আমাদের মাদরাসাগুলো জাতীয়করণের দাবি জানাই। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জরিপ করে বর্তমানে যে প্রতিষ্ঠানগুলো পাওয়া গেছে, সেগুলো এমপিওভুক্তির জন্য ২০২০-২১ অর্থবছরে আমরা প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের দাবি জানাই।’

জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0068011283874512