স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিভুক্তির দাবিতে ফের মাঠে নেমেছেন ননএমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা। আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের ব্যানারে এ দাবি আদায়ে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন কয়েকশ শিক্ষক-কর্মচারী। অবস্থান কর্মসূচিতে তারা স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ৫ হাজার ২৪২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্তির দাবি জানান। একই সাথে নতুন এমপিও নীতিমালা অনুসরণ করে বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হতে পারবে না বলেও দাবি করেন শিক্ষক নেতারা। আর স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব প্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্তির প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন শিক্ষকরা।
এর আগে গত ৭ অক্টোবর সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মাহামুদুন্নবী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির অধিকার আদায়ের দাবিতে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। নতুন নীতিমালাটি ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে জারি করা হলেও আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন না। আমরা দীর্ঘদিন ধরে পাঠদান করিয়ে আসছি। ৫ হাজার ২৪২টি প্রতিষ্ঠান স্বীকৃতি পেলেও নীতিমালার কথা বলে আমাদের দমিয়ে রাখা হচ্ছে। একাডেমিক স্বীকৃতিই এমপিও মানদণ্ড। আমরা সে হিসেবে আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো এমপিওভুক্ত হবে সে আশা করছি। অবস্থান কর্মসূচি শেষে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
‘আমরা শুরু থেকেই দাবি জানাচ্ছি স্বীকৃতপ্রাপ্ত সব প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার। বিভিন্ন সময়ে সরকার যখন প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বীকৃতি দিয়েছে তখন সব যোগ্যতাই ছিল। কয়েকবছর আগে পরে এমপিওভুক্তির সময় শিক্ষার্থী কম, অমুক-তমুক কম বলা হচ্ছে। কিন্তু তা শিক্ষকদের কাছে এসব যুক্তি গ্রহণযোগ্য হবে না’, যোগ করেন সভাপতি।
অবস্থান কর্মসূচিতে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিনয় ভূষণ রায় দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ‘আমরা নীতিমালা মানি না। নীতিমালা একটাই একাডেমিক স্বীকৃতি। নতুন এমপিও খুবই কঠোর। এ নীতিমালা রাজনৈতিকভাবে পর্যালোচনা করা হয়নি। শিক্ষক সমাজ বা সুধি সমাজ থেকেও তা পর্যালোচনা করা হয়নি। এ নীতিমালা আমরা মানি না।’
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আবস্থান কর্মসূচিতে সারাদেশ থেকে আগত কয়েকশ ননএমপিও শিক্ষক-কর্মচারী অংশগ্রহণ করেছেন।