এমপিওভুক্তির যোগ্য ১৫৩৭ স্কুল-কলেজ - দৈনিকশিক্ষা

এমপিওভুক্তির যোগ্য ১৫৩৭ স্কুল-কলেজ

নিজস্ব প্রতিবেদক |

এমপিওভুক্তির জন্য ছয় হাজার ১৪১ স্কুল ও কলেজ আবেদন করেছিল। এর মধ্যে এক হাজার ৫৩৭ প্রতিষ্ঠান নতুন নীতিমালার আওতায় এমপিও পাওয়ার যোগ্য বলে চিহ্নিত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটি। কারিগরি ও মাদরাসা এ হিসেবের বাইরে।  

এদিকে নির্বাচনের আগে এমপিওভুক্তির না হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন একাধিক ননএমপিও শিক্ষক নেতা।  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বুধবার রাতে দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, তালিকা চূড়ান্তকরণের জন্য এমপিও কমিটির সভা আহ্বান করার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। এমপিও কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সসদ্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক) জাবেদ আহমেদ বিদেশ সফরে যাচ্ছেন। যদি সত্যিই ১৫৩৭টি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করে, তবে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া হতে পারে। 

তিনি বলেন, আবার এমন খবরও পাই যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের সবাইকে ডেকে এমপিও ঘোষণা করবেন। তবে, আমি শতভাগ নিশ্চিত নই। 

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক) জাবেদ আহমেদ বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘একটি প্রাথমিক তালিকা তৈরি করেছি। সবাই বসে তা দেখার সময় কিছু পরিবর্তনও আসতে পারে। তবে তালিকার চূড়ান্ত অনুমোদন দেবেন শিক্ষামন্ত্রী।’

তিনি বলেন, এমপিওভুক্তির জন্য ১০০ নম্বর রাখা হয়েছিল। একাডেমিক স্বীকৃতি, শিক্ষার্থীর সংখ্যা, পরীক্ষার্থী ও উত্তীর্ণের সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে নম্বর দিয়ে উত্তীর্ণদের বাছাই করা হয়েছে।

জানা যায়, এক হাজার ৯৬৭ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় আবেদন করেছিল, তাদের মধ্যে যোগ্য ৫৭৯ স্কুল। দুই হাজার ৭৩৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আবেদনের মধ্যে ৭৬৪টি প্রতিষ্ঠানকে যোগ্য বিবেচনা করা হচ্ছে। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে এমপিওভুক্তির যোগ্য ১২১টি কলেজ। এর মধ্যে স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং কলেজ দুই স্তরের প্রতিষ্ঠানই রয়েছে। ৫৫৪টি ডিগ্রি কলেজ এমপিওভুক্তির আবেদন করেছিল, এর মধ্যে যোগ্য ৪৩ কলেজ।

জানা যায়, এমপিও নীতিমালা ২০১৮ অনুযায়ী, ১০০ নম্বরের শর্তের মধ্যে একাডেমিক স্বীকৃতির তারিখের জন্য রাখা হয়েছে ২৫ নম্বর। প্রতি দুই বছরের জন্য ৫ নম্বর এবং ১০ বা এর চেয়ে বেশি বছর হলে পাবে ২৫ নম্বর। শিক্ষার্থীর সংখ্যার জন্য ২৫ নম্বর। আর শিক্ষার্থীর কাম্য সংখ্যা থাকলে ওই প্রতিষ্ঠান পাবে ১৫ নম্বর এবং এর পরবর্তী ১০ শতাংশ বৃদ্ধির জন্য পাবে ৫ নম্বর। পরীক্ষার্থী এবং উত্তীর্ণের সংখ্যায়ও শিক্ষার্থী সংখ্যার মতোই একইভাবে নম্বর বণ্টন করা হয়েছে।

কাম্যযোগ্যতা পূরণ করতে নীতিমালা অনুযায়ী, সহশিক্ষা ও বালক প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শহরে ২০০ ও মফস্বলে ১৫০ জন শিক্ষার্থী থাকতে হবে। মাধ্যমিকে শহরে ৩০০ ও মফস্বলে ২০০ শিক্ষার্থী থাকতে হবে। স্কুল অ্যান্ড কলেজে শহরে ৪৫০ ও মফস্বলে ৩২০ জন শিক্ষার্থী থাকতে হবে। উচ্চ মাধ্যমিক কলেজে শহরে ২০০ ও মফস্বলে ১৫০ জন শিক্ষার্থী থাকতে হবে। স্নাতক পাস কলেজে শহরে ২৫০ ও মফস্বলে ২০০ শিক্ষার্থী থাকতে হবে। আর প্রত্যেকটি শ্রেণির পরীক্ষায় শহরে ৬০ জন ও মফস্বলে ৪০ জন শিক্ষার্থীর অংশ নিতে হবে। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে উত্তীর্ণ হতে হবে।

এমপিওভুক্তির জন্য কত টাকার প্রয়োজন হবে তার হিসাবও করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর। তবে তা করা হয়েছে সব আবেদনকারী ধরে। ছয় হাজার ১৪১টি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করলে সরকারের বছরে অতিরিক্ত প্রয়োজন হবে দুই হাজার ৯৭৫ কোটি ৩৫ লাখ ১০ হাজার টাকা। এর মধ্যে নিম্ন মাধ্যমিক ১৯৬৭ প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রয়োজন হবে প্রায় ৬৮৪ কোটি টাকা। ২৭৩৯ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জন্য বছরে লাগবে প্রায় এক হাজার ২৩৭ কোটি টাকা। আর এক হাজার ৪৩৫টি উচ্চ মাধ্যমিক ও ডিগ্রি কলেজ এমপিওভুক্তির জন্য বছরে প্রয়োজন হবে প্রায় এক হাজার ৫৩ কোটি টাকা।

এমপিওভুক্তির বাছাই কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করে বলেন, ‘জনসংখ্যার ভিত্তিতে সব উপজেলা থেকে যাতে সমসংখ্যক প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয় সে ব্যাপারটি বিবেচনা করা হবে। তাতে এখন এক হাজার ৫৩৭টি প্রতিষ্ঠান যোগ্য হলেও সেখান থেকে সংখ্যা কিছুটা কমতে পারে।’

জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0046548843383789