এমপিওর আবেদন বাতিলের হয়রানিতে নাজেহাল শিক্ষক-কর্মচারীরা - দৈনিকশিক্ষা

এমপিওর আবেদন বাতিলের হয়রানিতে নাজেহাল শিক্ষক-কর্মচারীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক |

তুচ্ছ কারণে এমপিও প্রত্যাশিদের হয়রানি করতে বারণ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একই সাথে শিক্ষকদের হয়রানি করলে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ার করা হয়েছে। এ নির্দেশনার পরও ঠুনকো অজুহাতে রাজশাহী অঞ্চলের শিক্ষক কর্মচারীদের এমপিও আবেদন বাতিল করা হচ্ছে। ফলে নাজেহাল হচ্ছেন শিক্ষকরা। একে একে সাত বার পর্যন্ত বাতিল করা হয়েছে এক ল্যাব অ্যাসিটেন্টের আবেদন। প্রতিবারই আবেদনের নতুন নতুন ভুল ধরা হয়েছে। রাজশাহী আঞ্চলিক পরিচালকের কার্যলয় থেকে সুস্পষ্টভাবে কোন নির্দেশনা না দেয়ায় ১৪ মাস ধরে প্রার্থীর এমপিওভুক্ত হতে পারেননি।

চাকরি নিয়ে জটিলতায় পড়ার ভয়ে হয়রানির শিকার কোন প্রতিষ্ঠান প্রধান বা এমপিও প্রত্যাশিরা নিজের পরিচয় দিয়ে কথা বলতে সাহস পান না। তারা দৈনিক শিক্ষাডটকমের মাধ্যমে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। একই সাথে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এমপিও আবেদনের বিষয়টি মনিটর করার আবেদন জানিয়েছেন। 

এমপিও প্রত্যাশীরা অভিযোগ করে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, একটি ডিগ্রি কলেজের একজন ল্যাব সহকারীর আবেদন সাত বার বাতিল করা হয়েছে। অথচ প্রথম বারেই যদি পূর্ণাঙ্গ আবেদনটি যাচাই করে সব ভুলের বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হতো দ্বিতীয়বার তা সংশোধন করে পাঠানো যেত। এতে ওই কর্মচারীকে সাত দোকানে ১৪ মাস ঘুরতে হতো না। 

তারা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে আরও বলেন, ল্যাব পরিদর্শনের প্রতিবেদন সংযোজন থাকলেও তা নেই বলে এমপিও আবেদন বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া রেজুলেশনের মূল কপি নাই, শিক্ষক-কর্মচারীর তালিকায় অস্পষ্টতা, স্ক্যান কপি অস্পষ্ট, আবেদন লেখা যথাযথ হয় নাই এ ধরণের অভিযোগ বাতিল এমপিও আবেদনের তালিকা হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

এক প্রতিষ্ঠান প্রধান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, তার প্রতিষ্ঠান থেকে উচ্চতর গ্রেডের জন্য আবেদন করা হয় সেপ্টেম্বরের এমপিওর জন্য সেটা বাতিল করে লেখে দেয়া হয়েছে, ‘উচ্চতর গ্রেড পেতে মাউসি অধিদপ্তরের নতুন নির্দেশনা লাগবে’। অথচ সারাদেশে সেই মাসেই প্রায় সাড়ে ৬ হাজার জনকে উচ্চতর গ্রেড দেয়া হয়েছে। তাহলে শুধু কি রাজশাহী অঞ্চলের জন্য নির্দেশনা প্রয়োজন ?

অপর এক প্রতিষ্ঠান প্রধান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, আমার প্রতিষ্ঠানের আবেদন ৩ বার বাতিল করার পর এর কারণ জানতে সরাসরি গেলে জানানো হয়, ‘আপনারা লাখ লাখ টাকা নিয়ে নিয়োগ দিয়েছেন। আমাদের সাথে বেতনের সময় দেখা করবেন না?’ পরে এক কর্মকর্তাকে জনপ্রতি হিসেবে কিছু টাকা দিয়ে এসেছি তখন ৫ টা আবেদনের বিপরিতে ২টা পাস করেছেন বাকি তিনটা বাতিল। হয়তো পরিমান কমছিল তাই তিনটা বাতিল করেছে।

ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0037100315093994