বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স কোর্সে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরা এমপিওভুক্তির দাবিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। এ সময় তারা উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দেন। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এ মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাভুক্ত অনার্স-মাস্টার্স কোর্সে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের জনবল কাঠামো ও এমপিওতে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে কাজ করার আশ্বাস দেন। উপাচার্যের আশ্বাসে শিক্ষক নেতারা আন্দোলন কর্মসূচি ১৫ দিনের জন্য স্থগিত করেন। ১৫ দিনের মধ্যে ওই কার্যক্রম শুরু না হলে উপাচার্যের পদত্যাগসহ বিভিন্ন কর্মসূচি দেয়া হবে বলে শিক্ষক নেতারা দৈনিক শিক্ষাকে জানান।
মতবিনিময়কালে শিক্ষকরা বলেন, ১৯৯৩ খ্রিষ্টাব্দ থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত বেসরকারি কলেজ সমূহে অনার্স-মাস্টার্স কোর্স অনুমোদিত হয়েছে। বর্তমানে সারা দেশের ২০৩টি বেসরকারি কলেজে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার ননএমপিও অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক শিক্ষাদান করে যাচ্ছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাউশিতে অনেক বার স্মারকলিপি ও আবেদন করা হলেও তাদের এমপিওভুক্ত করা হচ্ছে না। যার ফলে, কলেজগুলোতে অনার্স-মাস্টার্সে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাদের পূর্বনির্ধারিত উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও এবং অনশন কর্মসূচি থাকলেও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ এর আশ্বাসে গতকাল সকালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ঘেরাও এবং অনশন কর্মসূচি ১৫ দিন স্থগিত করা হয়েছে।
উপাচার্যের সঙ্গে ওইসব শিক্ষকদের এমপিও প্রদান, কলেজে শিক্ষার্থীর আসন ১০০-এর মধ্যে সীমিত রাখা, অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক দিয়ে শিক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নের দাবিসহ ৬ দফা দাবিতে স্মারকলিপি দেয়া হয়।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফোরামের আহ্বায়ক নেকবর হোসাইন, সদস্য সচিব মো. মেহরাব আলী, যুগ্ম আহবায়ক মো. মনিরুজ্জামান মোড়ল, আহসান উল্লাহ বিপ্লব, মো. নুরুন্নবী, সাদিকুর রহমান সাদিক, সাইফুল ইসলাম, গাজী মোফাজ্জেল হোসেন, মাহমুদ হাসান, রাসেল, মাসুম বিল্লাহ প্রমুখ।