সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজের আসন্ন এমবিবিএস প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তরপত্রে কোনো সেলাই থাকবে না। বিগত বেশ কয়েক বছর যাবত ভর্তি পরীক্ষায় মোট ৮ পৃষ্ঠার সেলাই করা প্রশ্ন ও উত্তরপত্র থাকতো। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রথমবারের মতো এবার এক পাতার (দুই পৃষ্ঠার) মধ্যে প্রশ্ন ও উত্তরপত্র ছাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এবার এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীর প্রত্যেকের জন্য এক সেট করে প্রশ্ন প্রণয়ন করা হবে। এছাড়া প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর প্রশ্ন হবে ভিন্ন। ১০০টি প্রশ্ন থাকলেও কোন প্রশ্ন কোথায় বা কত নম্বরে থাকবে তা কোনো পরীক্ষার্থী বুঝতে পারবেন না।
শুধু তাই নয়, মাত্র এক পাতার প্রশ্ন ও উত্তরপত্র কোনো প্রেসে ছাপানো হবে না। অত্যন্ত কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করে অধিদপ্তরের নিজস্ব উদ্যোগে এ দুই পৃষ্ঠার প্রশ্ন ও উত্তপত্র ছাপানো হবে।
আগে সেলাই করে ৮ পৃষ্ঠার প্রশ্ন ও উত্তরপত্র করায় সময় বেশি লাগতো, কাগজের জন্য খরচও বেশি হতো। তবে এবার এক পাতার প্রশ্ন ও উত্তরপত্রে খরচও কমবে, দ্রুত ছাপানো যাবে। এছাড়া সেলাই খুলে পৃষ্ঠার হারানোর কোনো ঝুঁকিও থাকবে না।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ এসব তথ্য জানান। তিনি জানান, ১১ অক্টোবর (শুক্রবার) রাজধানীসহ দেশের ১৯টি কেন্দ্রে একযোগে অনুষ্ঠিতব্য এ ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে আয়োজন করার জন্য সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। আগামীকাল (সোমবার) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক আসন্ন এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করবেন।
চলতি বছর এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় মোট আবেদনকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৭২ হাজার ৯২৮ জন। ১০০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টার এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষায় পদার্থ বিদ্যায় ২০, রসায়নে ২৫, জীব বিজ্ঞানে ৩০, ইংরেজিতে ১৫ এবং বাংলাদেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাধারণ জ্ঞানে ১০ নম্বর থাকবে।
অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. এ কে এম আহসান হাবিব স্বাক্ষরিত বিশেষ বার্তায় বলা হয়, শতভাগ স্বচ্ছতা, নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা রক্ষা করে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের প্রস্তুতি কার্যক্রম প্রায় সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রয়েছে। পরীক্ষার দিন অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে প্রবেশপত্র, এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষার প্রবেশপত্র, রেজিস্ট্রেশন কার্ড এবং রিফিল দেখা যায় এমন কালো বলপেনসহ পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে বলা হয়েছে।
সকাল সাড়ে ৯টার পর কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না এবং ঘড়ি ও মোবাইলসহ কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।