সিলেটের এমসি কলেজে গৃহবধূকে ধর্ষণের শিকার নারীর এজাহারে বর্ণিত নামের সঙ্গে মিল নেই আসল নামের।
এজাহারেই নাম বিভ্রাট আলোচিত সিলেট এমসি কলেজে ধর্ষণ মামলার। ঘটনার শিকার নারীর এজাহারের বর্ণিত নামের সঙ্গে মিল নেই আসল নামের। ইচ্ছা করে কিংবা অনিচ্ছাকৃত যেভাবেই হোক বিষয়টিকে এজাহারের বড় ভুল আখ্যা দিয়ে বলা হচ্ছে এতে সুবিধা পেতে পারেন আসামিরা।
সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রবাসে গৃহবধু ধর্ষণের ঘটনায় তোলপাড় পুরো দেশজুড়ে। অনুসন্ধানে মিলেছে, বিচার দাবির শুরুতে মামলা দায়েরেই হয়ে গেছে বড় ভুল। সিলেটের শাহপরাণ থানায় ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামীর দায়ের করা মামলার সঙ্গে আসল নামের সঙ্গে মিল নেই।
জন্মনিবন্ধন সনদ ও বিবাহ সংক্রান্ত নথিতে ওই তরুণীর যে নাম রয়েছে, মামলায় সেই নাম উল্লেখ করা হয়নি। এজাহারে তরুণীর প্রকৃত নাম গোপন করা নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে।
মামলার বাদী ও ভুক্তভোগী নারীর স্বামী টেলিফোনে জানান, প্রকৃত নাম যে দিতে হয় তা তিনি জানতেন না।
আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এজাহারে ভুলের কারণে বিচারে আসামিরা সুবিধা পেতে পারেন।
সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট এ এম আমিনুদ্দিন বলেন, 'ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হলে তখনই তাদের শাস্তি দেয়া যায়। অর্থাৎ কোনো ধরনের সন্দেহ থাকলে আসামিদের শাস্তি দেয়া যায় না। আর এফআইআর যদি ভুক্তভোগী নিজে করেন বা ভুক্তভোগীর সঙ্গী বা প্রত্যক্ষদর্শী করেন তখন সেক্ষেত্রে যদি তথ্যে গড়মিল থাকে বা অন্যকোনো ঘটনা আসছে তখন কিন্তু যারা আসামি থাকেন তারা সুবিধা পান।
এজাহার সম্পর্কে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জোত্যির্ময় সরকার বলছেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।