বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে এখন নৈরাজ্য চলছে। সিলেটের এমসি কলেজের ঘটনা অত্যন্ত ভয়াবহ। আর এটাই এখন দেশের প্রকৃত চিত্র। এখানে কারও কোনো নিরাপত্তা নেই। এখানে আওয়ামী লীগের নৈরাজ্য চলছে।
রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সিলেটের এমসি কলেজের হোস্টেলে ধর্ষণের ঘটনা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই এ ধরনের নৈরাজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। আওয়ামী লীগ একটা কাজে সফল হয়েছে যে, তারা দেশের সব মানুষের মধ্যে ভয়ভীতি সৃষ্টি করতে পেরেছে। সমাজের প্রতিটি স্তরে নিরাপত্তার অভাব বোধ এবং ভয়ভীতি কাজ করছে।
তিনি বলেন, এক সময় যারা মানুষের দাবি-দাওয়া, সমস্যা নিয়ে উচ্চকণ্ঠ ছিলেন, তারাও এখন কথা বলছেন না। সাংবাদিকরাও এখন কিছু লিখতে ও বলতে সাহস পাচ্ছেন না। সাংবাদিকরা কথা বলেননি, এ রকম আমরা কখনও দেখিনি। তাদের ব্যস্ত রাখা হয়েছে। বিএনপির কোথায়, কী ত্রুটি আছে সেগুলো বের করে সামনে আনা ছাড়া তাদের কোনো উপায় নেই।
তিনি বলেন, সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব জোর করে নিয়েছে। তারা তাদের অপকর্মে পুলিশকে ব্যবহার করেছে। সেই পুলিশ কেন শৃঙ্খলার মধ্যে থাকবে? জেলা শহরগুলোর আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক বৈঠকে এসপি যে বক্তব্য দেন, তা আওয়ামী লীগের নেতাদের চাইতে ১০ গুণ বেশি দলীয়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রবাসীদের ব্যাপারে সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। প্রবাসীদের আসার সময়ে যে সুরক্ষা দেওয়ার কথা ছিল, সেটা দেওয়া হয়নি। পরে অর্থনৈতিক যে প্রণোদনা দেওয়ার কথা ছিল, সেটাও পাননি তারা। ফলে অনেকেই ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। এখন প্রবাসীদের ফিরে যাওয়ার ব্যাপারেও সরকার দায়িত্ব পালন করছে না। এতে প্রবাসীদের জীবিকা এবং রেমিট্যান্স বিপন্ন হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, কক্সবাজার থেকে প্রায় সব পুলিশ সদস্যকে বদলি করায় প্রমাণ হয়েছে, সেখানে এতদিন যে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হয়েছে তার পেছনে সর্বোচ্চ পর্যায়ের মদদ ছিল। বিনামূল্যে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, কোনো রকম রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক স্বার্থ যেন সাধারণ মানুষের টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ব্যাঘাত না ঘটায়। এ বিষয়ে সংশ্নিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।