নিম্ন আদালতের আইনজীবী হতে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের অন্তর্ভুক্তির প্রিলিমিনারি (এমসিকিউ) ও লিখিত এবং হাইকোর্টের এনরোলমেন্ট (অন্তর্ভুক্তি) লিখিত পরীক্ষা সরকারি কলেজে অনুষ্ঠিত হবে। এসব পরীক্ষা তত্ত্বাবধানে থাকবেন ওইসব কলেজের অধ্যক্ষ।
এছাড়া হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্তির জন্য নৈর্ব্যক্তিক (এমসিকিউ) পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে সরকার।
নতুন বিধান অনুযায়ী হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্তির জন্য এখন থেকে এমসিকিউ পরীক্ষা দিতে হবে না। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা (প্রশাসন-১) স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন সোমবার (১০ আগস্ট) প্রকাশ করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, নিম্ন আদালতে আইনজীবী অন্তর্ভুক্তির এমসিকিউ ও লিখিত পরীক্ষা এবং হাইকোর্টে তালিকাভুক্তির লিখিত পরীক্ষা সরকারি কলেজে অনুষ্ঠিত হবে। এসব পরীক্ষা তত্ত্বাবধায়নের দায়িত্বে থাকবেন উক্ত কলেজের অধ্যক্ষ।
এর আগে, হাইকোর্টে তালিকাভুক্তির জন্য নতুন করে নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আইনজীবীদের সনদ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ও দেশের আইন পেশার নিয়ন্ত্রণকারী সর্বোচ্চ সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিল।
গত ২৯ ডিসেম্বর প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে পেশা পরিচালনার জন্য এখন থেকে এমসিকিউ পরীক্ষা দিতে হবে। ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে প্রার্থীকে ন্যূনতম ৫০ নম্বর পেতে হবে। প্রিলিমিনারি পরীক্ষার সময় এক ঘণ্টা। বিজ্ঞপ্তিতে ফরম পূরণের নির্দেশাবলিও উল্লেখ করা হয়।
উল্লেখ্য, হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্তির জন্য এমসিকিউ পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়ে আইনজীবী ও সংশ্লিষ্ট আইনজীবী সংগঠনগুলো আপত্তি জানিয়ে আসছিল। এরই মধ্যে আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রিলিমিনারি (এমসিকিউ) বাতিলের সিদ্ধান্ত আসল।