এরশাদের মৃত্যুতে আধাঘন্টা মদ পান বন্ধ রেখেছে রাজধানীর গুলশান ক্লাব। লে. জে. (অব.) হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ওই ক্লাবের সদস্য ছিলেন। সদস্য পরিচিতি (HH4)। ১৪ জুলাই ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাহ-ই-আলম চৌধুরীর সই করা এক নোটিশে বলা হয় ‘ক্লাবের সম্মানিত সদস্য লে. জে. হু. মু এরশাদের মৃত্যুতে ক্লাবের মদ সরবরাহ সন্ধ্যা সাতটা থেকে সাড়ে সাতটা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।’
বাংলাদেশের সাবেক সামরিক শাসক ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদের মৃত্যুর পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ধরণের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এর ব্যবহারকারীরা।
এরশাদের মৃত্যুর খবর জানিয়ে অনেক ব্যবহারকারী তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করেছেন। আবার অনেক ব্যবহারকারী তাঁর শাসনামলে নানা অনিয়মের কথা তুলে ধরে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
বিবিসির খবরে বলা হয়, ফেসবুক ব্যবহারকারী অজন্তা দেব রায়, জেনারেল এরশাদকে নিয়ে হুমায়ূন আজাদের একটি লেখার অংশ বিশেষ তুলে ধরেছেন যেখানে তাঁর বিরুদ্ধে নানা ধরণের অভিযোগ উঠে এসেছে। এরআগে দেয়া এক পোস্টে মিজ রায় বলেছেন, "যেকোন মৃত্যুই বেদনার। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, কিছু মানুষের মৃত্যুতে শোকবার্তায় ভালো ভালো কথা বলা যায় না। মন থেকে বলা যায় না- তিনি একজন ভালো মানুষ ছিলেন।"
আরেক ব্যবহারকারী এমডি শাহিন ইসলাম বলেছেন, "উনি ভালো কাজ করেছেন অনেক। কিন্তু তার শেষ বেলায় জনগণের চাওয়া-পাওয়ার কোন মূল্য না দিয়ে তার নিজের স্বার্থকে বড় করে দেখেছেন, তার কোন দাম তিনি পাননি, বরঞ্চ রাজনীতিকভাবে দেশকে এক চরম অশান্তিতে রেখে গেছেন।"
জেনারেল এরশাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভের একটি বড় অংশই এসেছে যারা তার শাসনামল দেখেছেন তাদের কাছ থেকে।
জেনারেল এরশাদের মৃত্যুর পর তাকে নিয়ে এ ধরণের মন্তব্য আসার পেছনে তাঁর শাসনামলের প্রতি মানুষের ক্ষোভ এবং তিক্ত অভিজ্ঞতা কাজ করেছে বলে মনে করছেন সামাজিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।