গফরগাঁওয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার ফরম পূরণে শিক্ষার্থীদের কাছ জোর করে গলাকাটা ফি আদায় করা হচ্ছে। শিক্ষকদের টাকা কমানোর অনুরোধ করেও কোনো লাভ হচ্ছে না এমনিই অভিযোগ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের। গফরগাঁও অধিকাংশ স্কুলগুলোতে কোচিং ফি, মডেল টেস্ট, সেশন চার্জসহ নানা অজুহাতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফি আদায় করা হচ্ছে।
অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলার শিবগঞ্জ বি. দাস, মশাখালী বহুমুখী, মশাখালী বালিকা, আঠারদানা বহুমুখী, মুখী পল্লী সেবক, পাঁচবাগ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও গয়েশপুর সিনিয়র মাদরাসা, যশরা আয়শা হাসান দাখিল মাদরাসাসহ অন্তত ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘুরে এমন অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে। গফরগাঁওয়ের প্রায় সব স্কুল-মাদরাসার অবস্থা একই। এসব প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে তিন হাজার থেকে চার হাজার টাকা পর্যন্ত ফরম পূরণ বাবদ আদায় করা হচ্ছে।
জানা যায়, শিক্ষা বোর্ড থেকে সব মিলিয়ে মানবিক ও ব্যবসা শিক্ষা বিভাগের জন্য ১ হাজার ৮৫০ ও বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ১ হাজার ৯৭০ টাকা নির্ধারণ করে দেয়া হলেও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রায় দ্বিগুণ টাকা আদায় করা হচ্ছে।
এদিকে, অতিরিক্ত টাকা দিতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে জানায়, ভর্তির সময় সেশন চার্জ ও বেতন দেয়ার পরও ফরম পূরণের সময় সব শিক্ষার্থীর কাছ থেকে এসব খাতে টাকা আদায় করা হচ্ছে। শিবগঞ্জ বি. দাস উচ্চ বিদ্যালয়ে ফরম পূরণের জন্য সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকা নেয়া হচ্ছে।
তবে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক বদরুল আলম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বোর্ড ফি থেকে সামান্য বেশি নেয়া হচ্ছে। কিন্তু ওই বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী জালাল উদ্দিন বলেন, মানবিকে আড়াই হাজার ও বিজ্ঞান বিভাগে সাতাই শ টাকা করে নিচ্ছি। তবে শিক্ষার্থীরা সংবাদকর্মীদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, স্যাররা আপনাদের কাছে মিথ্যা বলেছেন, আমাদের কারও কাছ থেকে সাড়ে তিন হাজার কারও কাছ থেকে চার হাজার টাকা পর্যন্ত নিচ্ছেন।