এসিটি শিক্ষকদের সরিয়ে দিল পুলিশ - দৈনিকশিক্ষা

এসিটি শিক্ষকদের সরিয়ে দিল পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক |

এমপিওভুক্তি অথবা পরবর্তী প্রকল্পে স্থানান্তরের দাবিতে সেকায়েপ প্রকল্পের অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষকদের লাগাতার কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে পুলিশ। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সোমবার (২২ অক্টোবর) দিবাগত রাতে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে তাদের সরিয়ে দেয়া হয়। রাত ১২ টার দিকেও  শিক্ষকরা প্রেস ক্লাবের সামনে ফুটপাথে অবস্থান করছিলেন। এসময় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা  শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি থেকে চলে যাওয়ার অনুরোধ করেন। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ লাঠিচার্জ করে শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

এসিটি এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো: মামুন হোসেন সোমবার রাত ১টার দিকে দৈনিকশিক্ষাকে জানান, রাতের অন্ধকারে পুলিশ শিক্ষকদের ওপর বেপরোয়া লাঠিচার্জ করে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পণ্ড করে দিয়েছে। মাগুরার দুলাল এবং ঝিনাইদহের জাফর নামে দুই শিক্ষককে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। রাত দুইটার দিকে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। অন্তত ১০ শিক্ষক পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হয় বলে তিনি দাবি করে বলেন, আহতের মধ্যে ৫ জনকে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আমরা নিজেরা আলোচনা করে পরবর্তী আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করব।

এর আগে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাংলাদেশ এসিটি এসোসিয়েশনের  ব্যানারে সমবেত কন্ঠে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে অবস্থান নেন শিক্ষকরা। সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষকদের ১০ মাসের বকেয়া বেতনসহ চাকরি স্থায়ীকরণের ঘোষণা না আসা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেয়া হয়।

আন্দোলনরত শিক্ষকরা জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে সেকেন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি অ্যান্ড একসেস এনহান্সমেন্ট (সেকায়েপ) নামে এ প্রজেক্টে অর্থায়ন করে বিশ্বব্যাংক। প্রকল্পের মেয়াদ ছিল গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত। শিক্ষক ম্যানুয়ালে দেওয়া হয়েছিল প্রকল্পের মেয়াদ শেষে নিয়মিত শিক্ষক হিসেবে এমপিওভুক্তির আশ্বাসও। সেকায়েপ প্রজেক্টের এসব অতিরিক্ত শিক্ষককে পরবর্তী সমন্বিত প্রকল্পে রাখার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হয়েছিল। তাই এসিটি শিক্ষকদের স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানে ক্লাস চালিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন প্রকল্প পরিচালক। কিন্তু মাসের পর মাস বিনা বেতনে পাঠদানের পর অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষকরা আজ ক্লান্ত। এখন তারা ক্লাস ছেড়ে রাজপথের আন্দোলনে নেমেছেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বেশ কয়েকদিন অবস্থান কর্মসূচিও পালন করেছেন তারা।

ঝরে পড়া শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে ফিরিয়ে আনা, অতিরিক্ত ক্লাসের মাধ্যমে কোচিং নিরুৎসাহিত করা, বাল্যবিবাহ ও শিশু নির্যাতনসহ নানা ধরনের কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ছিল অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষকরা। এসব শিক্ষকদের কারণে দুর্গম এলাকার স্কুলগুলোতে পাসের হার বেড়েছিল। ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে ২১৫ উপজেলায় এর কার্যক্রম শুরু হয়। ২০১৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার স্কুলে এসিটি শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। এই শিক্ষকরা নিয়মিত ক্লাসের আগে এবং প্রত্যেক শুক্রবার বা অন্য ছুটির দিনে ক্লাস নিতেন।

দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ - dainik shiksha আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন - dainik shiksha অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী - dainik shiksha আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ - dainik shiksha শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল - dainik shiksha ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0073599815368652