জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিলুপ্ত সেকায়েপ প্রকল্পের অতিরিক্ত শ্রেণি (এসিটি) শিক্ষকদের অনশন কর্মসূচি চলছেই। প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যা অনশনে রোববার (১০ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত ২০ শিক্ষক অসুস্থ হয়েছেন বলে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন।
গত রোববার থেকে অবস্থান কর্মসূচির পর বৃহস্পতিবার থেকে বাংলাদেশ অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষক (এসিটি) এসোসিয়েশনের ব্যানারে আন্দোলন করে আসছেন তারা।
আন্দোলনে অংশ নেয়া শিক্ষকরা জানান, দারিদ্রপীড়িত ও দুর্গম এলাকায় মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার মানোন্নয়ন, শিক্ষার্থী ঝরে পড়া কমাতে ২০১৫ খিস্ট্রাব্দে ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে প্রজেক্টের আওতায় নিয়োগ দেওয়া হয় ৫ হাজার ২০০ শিক্ষক। প্রকল্প শেষে এসিটিদের এমপিও সিস্টেমে অন্তর্ভুক্তিসহ যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রকল্পটি শেষ হওয়ার পর তাদের স্থায়ীকরণের আর কোন দৃশ্যমান পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হচ্ছে না। তাই তারা নিরুপায় হয়ে আন্দোলনে নেমেছেন।
চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে গত বছর কয়েকদফা মানববন্ধন করেছেন শিক্ষকরা। প্রথমে তারা এমপিওভুক্তির দাবিজানিয়ে আসছিলেন। পরে ওই দাবি থেকে সরে এসেছেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তা এবং শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমিক শাখার কয়েকজন কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাকে বলেছেন, এসি্টিদের মধ্যে যারা যোগ্য তারা অন্যত্র চাকরি নিয়ে চলে গেছেন।
এমপিও জনবলা কাঠামো নীতিমালা অনুযায়ী তাদের নিয়োগ না হওয়ায় এমপিওভুক্ত করা সম্ভব নয়। তবু প্রকল্পের কতিপয় কর্মকর্তার কথিত আশ্বাস অনুযায়ী মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার গুনগত মানোন্নয়নে নতুন প্রকল্প এসইডিপিতে সেকায়েপের বিভিন্ন কম্পোনেন্টের (পাঠাভ্যাস ও উপবৃত্তি) কার্যক্রম চালু হলেও এসিটিদের চাকরি স্থায়ী করার কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এতে চরমভাবে হতাশ হয়ে পড়েছেন এ শিক্ষকরা।
অনশন কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন রাফিউল ইসলাম রাফি, আতিকুর রহমান, মহিউদ্দিন মাহি, মো: শহিদুল ইসলাম, মো; রইজ উদ্দিন, মো: ওসমান গণি প্রমুখ।