ওসমানীনগরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান - দৈনিকশিক্ষা

ওসমানীনগরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান

সিলেট প্রতিনিধি |

সিলেটের ওসমানীনগরের হরিনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। স্কুল কর্তৃপক্ষ বলছে, দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান চলছে। নতুন ভবনের জন্য ঊর্ধ্বতন মহলে বারবার লিখিত আবেদন দেয়া হলেও সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।

ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। জানা যায়, ১৮৭০ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত উপজেলার তাজপুর ইউপির হরিনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সিলেটের অন্যতম প্রাচীন শিক্ষাকেন্দ্র। বিদ্যালয়ের একটি ভবন দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। আরেকটি জীর্ণভবনে চলছে পাঠদান। ভবনটিও সংস্কার না হওয়ায় ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে।[সিলেটের ওসমানীনগরের হরিনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। স্কুল কর্তৃপক্ষ বলছে, দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান চলছে। নতুন ভবনের জন্য ঊর্ধ্বতন মহলে বারবার লিখিত আবেদন দেয়া হলেও সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।

শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও রয়েছেন আতঙ্কের মধ্যে। দুর্ঘটনা এড়াতে অনেক অভিভাবক শিক্ষার্থীদের পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করাচ্ছেন। এলাকার অন্যান্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তুলনায় এই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিনদিন কমছে। গত বছর শিক্ষার্থী সংখ্যা দেড় শতাধিকের ওপর হলেও এবছর সবমিলিয়ে  ১৩০।

অন্যদিকে বিদ্যালয়ের অফিস ভবনের অবস্থা আরো করুণ। ভবনের ছাদের বিভিন্ন স্থান থেকে পলেস্তারা খসে পড়ছে। লিন্টার গুলোতে ফাটল দেখা দেয়ায় বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কায় প্রাক প্রাথমিকের শ্রেণিকক্ষের একটি অংশ অস্থায়ী অফিস হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। বিদ্যালয়ের বৈদ্যুতিক লাইনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় বেশ কয়েকদিন শর্টসার্কিটও হয়েছে। পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী আলেয়া বেগম জানায়, শ্রেণিকক্ষের টিনের চালে অনেক ফুটো। বৃষ্টির হলে বই-খাতা ভিজে যায়।

অন্যদিকে বিদ্যালয়ে টিউবওয়েল না থাকায় পানীয়জলের জন্য তাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। প্রধান শিক্ষিকা শিখা রানী কর বলেন, বছর খানেক আগে উক্ত বিদ্যালয়ে টিউবওয়েল বসানোর উদ্যোগ নেয়া হলেও কাজ অসম্পূর্ণ রেখেই ঠিকাদার পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে আর কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। বর্তমানে স্কুল পিয়ন ছাদেক আলীর মাধ্যমে অনেক দূর থেকে পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে।

তবে বাইরে থেকে আনা পানি হিসেব করেই খরচ করতে হয়। এদিকে বিদ্যালয়ের ভবনগুলো একেবারেই ঝুঁকিপূর্ণ। এ নিয়ে আমরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফারুক জাহাঙ্গীর বলেন, ঝুঁকিপূর্র্ণ ভবনের জন্য সব সময় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আতঙ্কে থাকতে হয়। বিষয়টি বেশ কয়েকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল মুমিন মিঞা বলেন, বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের জন্য তালিকা প্রেরণ করা হয়েছে। পরিদর্শন করে অন্যান্য সমস্যাগুলোর ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।

জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0040838718414307