রাজশাহীর তানোর উপজেলার তালন্দ লালপুর ফুরকানিয়া মাদরাসার তিন লাখ ৮১ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় মেম্বার আবুল হাসানের বিরুদ্ধে। তিনি মাদরাসাটির পরিচালনা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও তালন্দ ইউনিয়নের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বারের দায়িত্বে রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত তিন বছর প্রতিষ্ঠানটির পরিচলানা পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব ছিলেন মেম্বার আবুল হাসান। গত এপ্রিলে তার মেয়াদ শেষ হয়। তালন্দ লালপুর ফুরকানিয়া মাদরাসার নিজস্ব ৩৬ বিঘা জমি রয়েছে। এই জমিই মূলত প্রতিষ্ঠানটির আয়ের উৎস। এছাড়া স্থানীয়ভাবে সাহায্য পায় মাদরাসাটি। কমিটির সাধারণ সম্পাদক থাকাকালে তিন বিঘা ৮ কাঠা জমি স্থানীয় কৃষক বদিসহ তিনজনের কাছে সাড়ে তিন লাখ টাকায় লিজ দেন মেম্বার। এ টাকা তিনি আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সুরাহা করতে স্থানীয়ভাবে ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটি পর্যবেক্ষণ করে অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা পায়। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) মেম্বার আবুল হাসানের কাছে মাদরাসার আয়-ব্যয়ের হিসেব চাওয়া হলে তিন লাখ ৮১ হাজার ৪২২ টাকার হিসেবে দিতে পারেননি তিনি। তবে, মেম্বার আবুল হাসানের দাবি, মেয়াদের শেষ দিকে মাদরাসার কিছু উন্নয়নমূলক কাজ করিয়েছেন তিনি। জমি থেকে আয় করা টাকা তিনি মাদরাসার উন্নয়নের কাজে লাগিয়েছেন।
এ বিষয়ে মেম্বার আবুল হাসান দৈনিক শিক্ষকে বলেন, ‘এখানে আত্মসাতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। কিছু টাকা নিজের কাজে আছে। সেগুলো বর্তমান কমিটিকে বুঝিয়ে দেয়া হবে।’
তালন্দ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, তিন বছরে মাদরাসার আয় প্রায় ২১ লাখ টাকা। মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব থাকা মেম্বার আবুল হাসানের থেকে তিন লাখ ৮১ হাজার ৪২২ টাকার হিসেব পাওয়া যায়নি। তিনি আরও বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নিয়েছি, আগামী দেড় মাসের মধ্যে তিন লাখ ৮১ হাজার ৪২২ টাকা ফেরত দেয়া হবে।’