কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসের সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রির (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) সমমান আইন-২০১৮ এর খসড়া চূড়ান্ত করতে আন্ত:মন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৩ মে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সভায় সভাপতিত্ব করবেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো: সোহরাব হোসাইন।
এ আইন চূড়ান্ত হলে বাংলাদেশের একটি সাধারণ ধারার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলাসিক স্টাডিজ ও আরবি সাহিত্যে মাস্টার্স ডিগ্রির সমমান হবে কওমি মাদ্রাসার দাওয়ায়ে হাদিস ডিগ্রি।
বাংলাদেশে কয়েক ধারার শিক্ষা ব্যবস্থায় কওমি মাদ্রাসার সনদের এই ধরনের স্বীকৃতিতে শিক্ষাবিদ অনেকের বিরোধিতা রয়েছে। জঙ্গিবাদের বিস্তার রোধে মাদ্রাসা শিক্ষা বিলুপ্তির দাবিও রয়েছে। ব্রিটিশ আমলে এই অঞ্চলে কওমি মাদ্রাসার যাত্রা শুরু হয়। সারা বাংলাদেশে প্রায় ১৪ হাজার কওমি মাদ্রাসায় প্রায় ১৪ লাখ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে।
এর আগে গত ১১ এপ্রিল কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসকে সাধারণ শিক্ষার স্নাতকোত্তর স্তরের মর্যাদা দেওয়ার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কওমি মাদ্রাসার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য বজায় রেখে এবং দারুল উলুম দেওবন্দের মূল নীতি সমুহের উপর ভিত্তি করে কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসের সনদকে মাস্টার্স (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি সাহিত্য) সমমান প্রদান করা হল।”
কওমির সনদের স্বীকৃতির বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “এই সম্মানটা পেলে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ আলোর পথে যাত্রা শুরু করবে, অন্ধকারে থাকবে না। তারা দেশে বিদেশে চাকরি করতে পারবে। তারা বিভিন্ন জায়গায় কাজ পাবে। তাদের জীবনে অনেক সুযোগ আসবে।
আরও পড়ুন:
কওমির দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্সের সমমান ঘোষণা
কওমি সনদের স্বীকৃতি নিয়ে খালেদা জিয়া যা করেছিলেন
কওমির দাওরায়ে হাদিসে যা পড়ানো হয়