দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম সমুদ্রসৈকত, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি দেশের সর্ব-দক্ষিণের জেলা কক্সবাজার। স্বাস্থ্যকর স্থান এবং নৈসর্গিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত কক্সবাজার। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের পাশ দিয়ে তৈরি হয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম মেরিন ড্রাইভ। মেরিন ড্রাইভ ধরে ভ্রমণ যেন হার মানিয়ে দেয় যেকোনো ভিডিও গেমকে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে আরও জানা যায়, কক্সবাজার শহর থেকে টেকনাফ পর্যন্ত সাগর ও পাহাড়ের বুক চিরে চলে গেছে দীর্ঘ ৮০ কিলোমিটার সড়কটি। এরই পাশে গড়ে উঠেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী ক্যাম্প; কুতুপালং। আর এই রোহিঙ্গা সংকটকে বলা হচ্ছে এই সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো মানবিক সংকট। এরকম নানা কারণে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি নিবন্ধ হয়েছে কক্সবাজারে। এখানে রয়েছে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনসহ প্রধান ৭টি দ্বীপ। আর সাগর-পাহাড় কেন্দ্রীক নানা আয়োজন। বিশেষ করে সার্ফিং, প্যারাসাইলিং, স্কুভা ডাইভিং এর মতো অ্যাডভ্যাঞ্জার একেবারেই ভিন্নতর।
কক্সবাজার দেশের সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন শহর। একটি আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়ামও রয়েছে এই জেলায়। বিদ্যমান আকাশপথের পাশাপাশি শীঘ্রই চালু হচ্ছে মিটারগেজ রেলপথ। রপ্তানিযোগ্য হোয়াইট গোল্ড খ্যাত চিংড়ি, লবণ, সামুদ্রিক মাছ, মূল্যবান প্রাকৃতিক সমপদ, শামুক, রাবার বাগান, বনজ সম্পদ ইত্যাদিতে ভরপুর অর্থনৈতিকভাবে সম্ভাবনাময়। কক্সবাজারে রয়েছে হাজারো স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, পলিটেকনিক, মেডিকেল কলেজসহ আরো নানা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু দুঃখজনক সত্যি হচ্ছে এখানে কোনো সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নেই। কক্সবাজার জেলার হাজারো শিক্ষার্থী দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে। তবুও পারিবারিক অস্বচ্ছলতার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির স্বপ্ন অনেক মেধাবি শিক্ষার্থীর অধরাই রয়ে যাচ্ছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যেন কক্সবাজার একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়।
লেখক: নুরুল ইসলাম নূর, ঢাকা।