প্রধান শিক্ষকদের সাথে সহকারী শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য সমস্যার সমাধান না হলে কঠোর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক মহাজোট। বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ হুমকি দেয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল নির্ধারনে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করে কর্মসূচি ঘোষণা করেন শিক্ষক সমাজের সভাপতি আনিসুর রহমান। তিনি বলেন, ২০১৮ খ্রিস্টাব্দের ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ এবং বেতন বৈষম্য নিরসন না হলে ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষকরা প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ কামনায় গণস্বাক্ষর করবেন। ২৫ সেপ্টেম্বর গণস্বাক্ষরের কপিসহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্মারকলিপি পেশ করবেন শিক্ষকরা। এরপরও দাবি আদায় না হলে তারা মহাসমাবেশসহ আরো কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি দেয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ। তিনি বলেন, প্রধান শিক্ষকদের সাথে সহকারী শিক্ষকদের চরম বেতন বৈষম্য বিরাজমান। ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে যেখানে একজন প্রধান শিক্ষকের সাথে সহকারী শিক্ষকের বেতন ব্যবধান ছিল মাত্র ১০ টাকা। ২০১৮ খ্রিস্টাব্দে এ ব্যবধান হয়েছে ভাতাসহ প্রায় ৫ হাজার টাকা। বর্তমানে সহকারী শিক্ষকরা প্রধান শিক্ষকের চেয়ে ৩ গ্রেড নিচে বেতন পান। গত ২৩ ডিসেম্বর সহকারী শিক্ষকরা ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আমরণ অনশনের ডাক দেন। ২৫ ডিসেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিতে শিক্ষকরা অনশন স্থগিত করেন। কিন্তু ৯ মাস পার হয়ে গেলেও বেতন বৈষম্য নিরসনের অগ্রগতি হয়নি।
সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন মহাজোটের মুখপাত্র ও সহকারী শিক্ষক ফ্রন্ট এর সভাপতি ইউএস খালেদা আক্তার।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আসাদুজ্জামান দুর্জয়, বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি জাহিদুর রহমান বিশ্বাস, সহকারী শিক্ষক সমাজের সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকী রবিউল, সহকারী শিক্ষক ফ্রন্টে এর সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন, সহকারী শিক্ষক সমিতির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের জিলানী ও প্রমথেশ দত্ত, সহ-সভাপতি জাকির হোসেন, গাজী সালাউদ্দিন, জসিম উদ্দিন, আব্দুর রহিম ফেরদউস, মোহাম্মদ আব্দুল আলী, ফিরোজ আলম, মতিউর রহমান, ইলিয়াস মিয়া, আব্দুর রহমান, ময়জুল হক, শিশির কীর্তনিয়া, কাশেম বিদ্যুৎ প্রমুখ।