কালবৈশাখী ঝড়ে গতকাল রোববার (৩১ মার্চ) সকালে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে কমলগঞ্জ উপজেলা। বিদ্যুৎ না থাকায় গ্যাস ফিলিং স্টেশন কোনো যানবাহনে গ্যাস সরবরাহ করতে পারেনি। এতে বেশির ভাগ গ্যাস নির্ভর যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রাস্তায় তেমন যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। ফলে আজ সোমবার পরীক্ষার প্রথম দিনে কেন্দ্রে যেতে পরীক্ষার্থীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
গতকাল উপজেলায় ঝড়ে ৯টি ঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ প্রায় শতাধিক ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পতনঊষার ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের বাড়ি ঘর বিধ্বস্ত হয়। বিপুল সংখ্যক গাছ উপড়ে পড়ে বিদ্যুৎ লাইনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে রোববার সকাল সাড়ে নয়টা থেকে বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে পুরো কমলগঞ্জ উপজেলা। বিদ্যুৎ না থাকায় গতকাল সন্ধ্যা থেকে পরীক্ষার্থীদের হারিকেন, মোমবাতি ও চার্জার বাতি জ্বেলে পড়াশোনা করতে দেখা গেছে।
মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কমলগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) ওবায়দুল হক জানান, ঝড়ের কারণে বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে গেছে। খুঁটি থেকে ট্রান্সফরমার পড়ে গেছে। বিদ্যুৎকর্মীরা বিদ্যুৎ লাইন মেরামত করে গতকাল বিকেল চারটায় কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ দিতে সক্ষম হন। তবে বিকেল সাড়ে চারটায় আবহাওয়া আবার খারাপ হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। ওই সময় কুলাউড়া ও বড়লেখা উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড় শুরু হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ আর চালু করা যায়নি।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশেকুল হক বলেন, ঝড়ের কারণে গত ২৪ ঘণ্টা ধরে কমলগঞ্জ অন্ধকারাচ্ছন্ন বলা যায়। প্রাকৃতিক দুর্যোগের ওপর তো কারও হাত নেই।