ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদ না পেয়ে বিক্ষোভ করেছেন পদ বঞ্চিতরা। সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যায় মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করতে গেলে পদ বঞ্চিতদের ওপর হামলা হয়। এ সময় বেশ কয়েজন আহত হন। আহতদের বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইফতারের পর সংবাদ সম্মেলন শুরু করতে গেলে তাদের উদ্দেশ করে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেয় বিপক্ষ গ্রুপ। এক পর্যায়ে সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেয়া নেতাকর্মীদের ওপর হামলা হয়। এ সময় চেয়ার ছুড়াছুড়ি করে উভয় পক্ষ। হামলায় বেশ কয়েজন নারী নেত্রীও আহত হন।
হামলায় আহতরা হলেন- ছাত্রলীগের বিগত কমিটির সদস্য ও ডাকসুর বর্তমান সদস্য তানভীর হাসান সৈকত, কবি সুফিয়া কামাল হলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর সদস্য তিলোত্তমা শিকদার, ডাকসুর আরেক সদস্য ফরিদা পারভীন, ডাকসুর কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক বি এম লিপি আক্তারসহ কয়েকজন।
সংবাদ সম্মেলনে বিক্ষোভকারীরা বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের নবগঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে অছাত্র, ছাত্রদল, বিবাহিত, বিতর্কিতদের স্থান দেওয়া এবং ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মীদের বঞ্চিত করায় এই প্রতিবাদ।
এর আগে সন্ধ্যায় মধুর ক্যান্টিন থেকে বিক্ষোভ মিছিল ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে রাজু ভাস্কর্যে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। সমাবেশে গত কমিটির প্রচার সম্পাদক সাঈফ বাবু বলেন, ‘ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বিতর্কিত কমিটি ঘোষণা করেছেন। এই বিতর্কিত কমিটিতে যারা বিতর্কিত তাদের বাদ দিয়ে প্রকৃত ছাত্রলীগকর্মীদের মূল্যায়ন করার দাবি জানান তিনি। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সাবেক পরিকল্পনা ও কর্মসূচি বিষয়ক সম্পাদক রাকিব হোসেন, উপ অর্থ সম্পাদক তিলোত্তমা শিকদার, উপ সম্পাদক সৈয়দ আরাফাত, রোকেয়া হলের সভাপতি বিএম লিপি আক্তার, কুয়েত মৈত্রী হলের সভাপতি ফরিদা পারভীন, সাধারণ সম্পাদক শ্রাবণী শায়লা প্রমুখ।
এর আগে সোমবার (১৩ মে) বিকালে ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে সহ সভাপতি হয়েছেন ৬১ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ১১ জন, সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ পেয়েছেন ১১ জন। এছাড়া বিষয়ভিত্তিক সব সম্পাদক এবং সহ সম্পাদক ও উপ সম্পাদকের নামও ঘোষণা করা হয়।