করোনা ভাইরাস গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। এখন পর্যন্ত ২০১টি দেশে এ ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, শনিবার (২৮ মার্চ) পর্যন্ত সারাবিশ্বে ৫ লাখ ৭১ হাজার ৬৭৮ জন ব্যক্তি ভাইরাসের সংক্রমণ শিকার হয়েছেন। ভাইরাস আক্রান্ত ২৬ হাজার ৪৯৫ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। যা মোট আক্রান্তের ৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, শনিবার (২৮ মার্চ) এক দিনেই ৫৯ হাজারের বেশি লোক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এর আগে শুক্রবার ৪৬ হাজার ৮০০ জনের বেশি লোক এবং বৃহস্পতিবার এক দিনে ভাইরাস আক্রান্ত শনাক্তের সংখ্যা ছিল ৪৯ হাজার ২০০ জন। এ অবস্থায় সারা বিশ্ব আজ বিচ্ছিন্ন। অধিকাংশ দেশ লকডাউন কিংবা জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
বিশ্বব্যাপী লকডাউন ও জরুরি অবস্থার মধ্যে বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গত শনিবার ২১ মার্চ সারাবিশ্বে কখন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৬৭ হাজার। কিন্তু ঠিক এক সপ্তাহ পর পরবর্তী শনিবার ২৮ মার্চ পর্যন্ত সারাবিশ্বে ৫ লাখ ৭১ হাজার ৬৭৮ জন আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছেন। অর্থাৎ আট দিনে নতুন আক্রান্ত ৩ লক্ষাধিক মানুষ শনাক্ত হয়েছেন।
করোনা ভাইরাসে সংক্রমণ হয়েছে বাংলাদেশেও। দেশে শুক্রবার ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হননি। বরং এ পর্যন্ত আক্রান্ত ৪৮ জনের মধ্যে আরও চারজন সুস্থ হয়েছেন। এ হিসেবে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৫ জন। এছাড়া এসময়ে নতুন করে কোনো মৃত্যুও নেই। মোট ৪৮ জন করোনা রোগীর মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
ভাইরাস মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকার ব্যাপক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, কাঁচাবাজার ও ওষুধের দোকান ছাড়া সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। সব স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়সহ ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক জনসমাগমও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও করোনাভাইরাসে বিস্তার রোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী।