করোনা : দীর্ঘমেয়াদে কী প্রভাব রেখে যাচ্ছে বাংলাদেশে? - দৈনিকশিক্ষা

করোনা : দীর্ঘমেয়াদে কী প্রভাব রেখে যাচ্ছে বাংলাদেশে?

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

ঘনবসতিপূর্ণ এই দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে বলে অনেকেই আশংকা করেছিলেন। কিন্তু আমেরিকা এবং ইউরোপের তুলনায় বাংলাদেশে মৃত্যুর হার অনেক কম। শনিবার (১৫ আগস্ট) বিবিস বাংলায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনটি লিখেছেন কাদির কল্লোল।

প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, অন্যদিকে সরকারি হিসাবে বলা হচ্ছে, সুস্থতার হার প্রায় ৬০ শতাংশ। তবে যারা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন, তাদের অনেকের শরীর এবং মনের উপর নেতিবাচক নানা প্রতিক্রিয়া হওয়ার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।

করোনাভাইরাস মানুষের শরীর এবং মনে কতটা ক্ষত তৈরি করছে?

ঢাকায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তের হার দেশের অন্যান্য এলাকার তুলনায় অনেক বেশি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে মোট শনাক্ত রোগীর প্রায় ৭০ শতাংশই ঢাকা বিভাগে।

নগরীতে কোভিড-১৯ এর জন্য নির্ধারিত একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে দুই মাস আগে বাসায় ফিরেছেন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা মর্তুজা আহমেদ ফারুক। কিন্তু ৬৫বছর বয়স্ক মি: ফারুক এখনও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেননি।

"একটা জটিলতা দুর্বলতা ছিল, এটা সাধারণত সবারই থাকে শুনেছি। কিন্তু আমার এই দুর্বলতা দীর্ঘ সময় ধরে চলে। এরপরে দেখা যাচ্ছে যে মাথা ঘোরে। এখনও শোয়া বা বসা থেকে উঠলে এবং হাঁটলে মাথা ঘোরে। এটা কিন্তু দু'মাস হওয়ার পরও রয়ে গেছে। যদিও বিশ্রামে আছি এবং যথেষ্ট প্রোটিন খাচ্ছি, তারপরও এই জিনিসটা যাচ্ছে না। সেজন্য আমি স্বাভাবিক কাজকর্ম করার জন্য এখনও ফিট নই।"

বাংলাদেশে বয়স্কদের অনেকের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগসহ নানা ধরণের জটিল রোগ থাকে। যদিও করোনাভাইরাস মহামারিতে সমাজের এই অংশকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

তবে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত তরুণ বা যুবকদেরও অনেকের শরীরে দীর্ঘ মেয়াদে নেতিবাচক প্রভাব দেখা যাচ্ছে।

২৯ বছর বয়স্ক আজিজা বেগম শ্বাসকষ্ট নিয়ে গুরুতর অবস্থায় গত এপ্রিল মাসে চিকিৎসা নিয়েছিলেন ঢাকায় কুর্মিটোলা হাসপাতালে। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নার্স হিসাবে কাজ করেন। মে মাসের মাঝামাঝি তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে হাসপাতালের কাজে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু করোনাভাইরাসে প্রভাবে তার শরীরে জটিলতা বেড়েছে এবং মনে তৈরি হয়েছে ভয়।

আগে থেকে আমার ডায়াবেটিস ছিল। এখন ডায়াবেটিস খুব আপডাউন করছে। আবার ইদানীং ব্লাড প্রেশারটাও ধরা পড়েছে। এখনো আবহাওয়াও একটু অন্যরকম, কখনও রোদ এবং কখনও বৃষ্টি হচ্ছে। এই সময়ে একটু গলা ব্যথা হলেই ভয় লাগে, এই বুঝি আবার কিছু হচ্ছে। বয় লাগে, মনে একটা শঙ্কা চলে এসেছে। মানে স্বাভাবিক জীবন যাপন অনুভব করতে পারি না।"

দীর্ঘ মেয়াদের নেতিবাচক প্রভাব কাটানোর জন্য চিকিৎসার কোন প্রটোকল না থাকার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। ঢাকায় একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সাংবাদিক মোঃ সাহাদাত হোসেন এবং তার স্ত্রী গুরুতর অসুস্থ হয়ে নয় দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলেন তিন মাস আগে।

মি: হোসেনের বয়স ৩০ বছর। তিনি বলেছেন, কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হওয়ার পর এখন তিনি ভুলে যাওয়া বা স্মৃতি ভ্রমের মতো সমস্যা অনুভব করছেন।

"খুবই শারীরিক দুর্বলতা অনুভব করি। এবং আমি হঠাৎ হঠাৎ স্মৃতি রিকল করতে সমস্যায় পড়ছি। সেটা হচ্ছে, ধরেন আমি কাউকে ফোন করবো, যখন হয়তো আমি ফোন করতে যাই, তখন আমি কাকে ফোন করবো, সেটা ভুলে যাই। এই সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। আগে এ ধরণের কোন সমস্যা ছিল না।"

এখন বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তের সংখ্যা তিন লাখ ছুঁই ছুঁই করছে। সেখানে সুস্থতার হার প্রায় ৬০ শতাংশ বলা হচ্ছে।

তবে সুস্থ হওয়ার পর দীর্ঘ মেয়াদের নানা প্রতিক্রিয়া বা প্রভাবের ব্যাপারে দেশে কোন গবেষণা হয়নি। অবশ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ নিয়ে আইইডিসিআর একটি জরিপ শুরু করেছে।

করোনাভাইরাসের প্রভাবে দীর্ঘ মেয়াদে কী ধরণের জটিলতা দেখছেন চিকিৎসকরা

যদিও দীর্ঘমেয়াদী প্রতিক্রিয়া নিয়ে এখনও গবেষণা হয়নি। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়া অনেক মানুষ তাদের শরীরে নানা জটিলতা নিয়ে আবার হাসপাতালে যাচ্ছেন।

ঢাকায় মুগদা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা: টিটো মিয়া তাঁর অভিজ্ঞতা থেকে বলেছেন, মানসিক অবসাদ থেকে শুরু করে স্মৃতিভ্রমের মতো জটিল নানা সমস্যা তৈরি হচ্ছে সুস্থ হওয়া মানুষের শরীরে।

"প্রথমে দেখা যায় তারা মানসিক অবসাদে ভুগছেন। রোগীরা অভিযোগ করে, আনডিউ টায়ার্ডনেস । তারা বলে, তাদের কিছু ভাল লাগছে না, কিছু করতে ইচ্ছা করছে না। এরকম একটা অবস্থা থাকে। কারও কারও দেখা যায়, প্যানিক ভাবটা থাকে। হঠাৎ করে মনে হয় যে, শ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বা দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।"

"আর কিছু সমস্যা দেখা যায়, যার প্রভাবে আমাদের তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। যেমন কারও কারও শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যাটা আরও জটিল হয়। কোভিড ভাল হয়ে যায়, জ্বর আর থাকে না। কিন্তু কারও কারও ফুসফুসে পরিবর্তন হয় এবং জটিলতা দেখা দেয়। আবার কেউ হার্ড এর সমস্যায় পড়েন। হার্ড ফেইলোরও হয়। অনেক সময় হঠাৎ কার্ডিয়াক ডেথও হয়ে যায়। হার্ডের রিদমেরও সমস্যা হয়, হার্ড বিট কখনও স্লো হয়ে যায় বা খুব বেড়ে যায়। এছাড়া অনেকের ভুলে যাওয়ার বিষয়টা বেড়ে যায়।"

দক্ষিণ পশ্চিমের জেলা যশোরের ৪৫ বছর বয়স্ক শাহিনা ইয়াসমিন প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন গত জুন মাসে। মুমূর্ষু অবস্থা থেকে তিনি দেড় মাস আগে বাড়ি ফিরতে পেরেছেন।

তিনি জানিয়েছেন, তার পুরনো রোগ ডায়াবেটিস এখন অনিয়ন্ত্রিত হয়ে গেছে এবং নতুন করে দেখা দিয়েছে উচ্চ রক্তচাপ।

"এখন আমার শারীরিক দুর্বলতা তো আছেই। আর মাঝে মাঝে প্রেশারের কারণে দুই কান গরম হয়ে যায়। শরীর খুব ঘেমে যায়। ডাক্তারের সাথে আলাপ করেছি। তারা কোন ঔষধ দেয়নি। খাওয়া ঠিকমতো খেতে বলেছে আরকি।"

ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগের মতো সমস্যা যাদের আছে, করোনাভাইরাসের প্রভাবে তারাই বেশি নতুন নতুন জটিলতার মুখোমুখি হচ্ছেন বলে চিকিৎসকরা বলছেন।

মুগদা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা: টিটো মিয়ার বক্তব্য হচ্ছে, ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপসহ জটিল সব রোগীরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে তারাই বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন। সুস্থ হওয়ার কয়েক মাস পরও নানা অভিযোগ নিয়ে তাদেরকে আবার চিকিৎসকের কাছে যেতে হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।

"যদের গুরুতর অবস্থায় দীর্ঘ সময় হাসপাতালে থাকতে হয়, যাদের নিউমোনিয়া বা অক্সিজেন সমস্যা হয় অথবা যাদের আইসিইউতে থাকতে হয়, তারা যখন হাসপাতাল ছেড়ে যায়, তাদের ক্ষেত্রে কিন্তু এই সমস্যাগুলো বেশি হয়। এরকম জটিলতার মুখোমুখি হচ্ছেন, তাদের সংখ্যা ২০ শতাংশের কম নয়।"

যাদের উপসর্গ নাই, তারা কি দীর্ঘ মেয়াদের জটিলতায় পড়তে পারেন

সরকারের রোগ তত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট বা আইইডিসিআর এর এক জরিপে বলা হয়েছে, ঢাকায় আক্রান্তদের প্রায় ৮০ শতাংশেরই কোন উপসর্গ নেই।

তাহলে যাদের কোন উপসর্গ নেই, তাদের ওপর কি নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে না -এসব প্রশ্নও অনেকে তুলছেন।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা: লেলিন চৌধুরী তার অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছেন, উপসর্গ নেই বা আছে এবং বয়সের বিবেচনা -কোনটাই খাটছে না দীর্ঘ সময়ের নেতিবাচক প্রভাবের ক্ষেত্রে।

তিনি বলেছেন, যারাই আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের বেশির ভাগেরই শরীর দুর্বলতা এবং মানসিক অবসাদসহ নানা সমস্যা হচ্ছে।

"করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর উপসর্গ কম, মাঝারি এবং বেশি -যাই থাকুক না কেন, তাদের সুস্থ হওয়ার পর কয়েক সপ্তাহ চিকিৎসকের পরামর্শে থাকা উচিত। তাহলে প্রভাব সম্পর্কে একটা ধারণা তৈরি করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া যাবে। বাংলাদেশে এই কাজটি করা হচ্ছে না।"

তিনি আরও বলেছেন, "যদি একটি মানুষ না বুঝে যে তার শরীর এবং মনের ওপর কি প্রভাব পড়ছে, তাহলে পারিবারিক এবং কর্মজীবনে তাকে সমস্যায় পড়তে হবে। কারণ কর্মজীবনে সহকর্মীরা ভাববে সে কাজ করছে না। আর পরিবারের সদস্যরা ভাববে, লোকটা ঝিমাচ্ছে কেন? ফলে মানুষটির সমস্যা আরও জটিল হবে।"

করোনাভাইরাস আক্রান্তরা সুস্থ হওয়ার পর তাদের ফলোআপ চিকিৎসা কতটা হচ্ছে?

করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হওয়ার পরও যখন এর নেতিবাচক প্রভাব থাকছে, সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার জন্য চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় কোন পরিকল্পনা নেই বলে চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞরা বলেছেন।

তারা মনে করেন, বাংলাদেশে যেহেতু করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করানো এবং রোগীর চিকিৎসার ব্যাপারে মানুষকে আগ্রহী করতে অনেক বেগ পেতে হচ্ছে। সেখানে সুস্থ হওয়ার পর নানা জটিলতা হলেও তার ফলোআপ চিকিৎসা করানোর সংখ্যাও অনেক কম।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইন্সটিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক নাসরিন সুলতানা বলেছেন, তিনি নিজেও দীর্ঘ মেয়াদের নেতিবাচক প্রভাবের মুখোমুখি হয়েছেন এবং নিজে থেকেই ডাক্তারের কাছে ফলোআপ চিকিৎসা নিচ্ছেন।

তিনি মনে করেন, ফলোআপ চিকিৎসার ব্যাপারেও মানুষকে সচেতন করা প্রয়োজন।

"আমি করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছিলাম ২৬শে মে। জুন-জুলাই গেলো এবং এখন অগাস্ট মাস। আড়াই মাস হয়ে গেলো। এখনও ঘুম থেকে উঠলে আমার শরীর কাঁপে। আমার স্বামীর অবস্থা আমার চেয়েও খারাপ ছিল। সে সিএমএইচএর আইসিইউতেও ছিল। সে এখনও বলে যে বুকের মধ্যে একটু প্রেশার ফিল করছি। আর তাছাড়া সাইকোলজিক্যাল সমস্যা যেটা রয়েছে, এখনও প্যানিক কাজ করে মাঝে মাঝে। এখনও মাথা ঘোরে। আড়াই মাস হয়ে গেছে এখনও আমরা নরমাল ফিল করছি না। আমরা ফলোআপ চিকিৎসা নিচ্ছি।"

"আমি মনে করি, যেমন করোনার সময় বলা হয়, এই নম্বরে ফোন করো বা এই নম্বরে ফোন করো বা এই হাসপাতালে যাবে। এক্ষেত্রেও সেভাবে বলা উচিত যে যাদের ক্রিটিক্যাল অবস্থায় গিয়েছিল, তাদের এতদিন পর এই এই হাসপাতালে যেতে হবে । এটা অবশ্যই করা উচিত।"

চিকিৎসকরা বলেছেন, এখন কোভিড-১৯ এর চিকিৎসার নির্ধারিত ঢাকায় সরকারি কয়েকটি হাসপাতালে সুস্থ হওয়াদের ছাড়পত্র দেয়ার সময় ফলোআপ চিকিৎসার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

ডা: টিটো মিয়া বলেছেন, " এখনও আমরা করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ম্যানেজ করতেই বেশি ব্যস্ত। তারপরও আমরা এখন প্ল্যান করছি এবং কাউকে কাউকে বলে দিচ্ছি একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর আবার আমাদের পরামর্শ নিতে। আর আমরা আমাদের মুগদা হাসপাতালে একটা প্রটোকলও মেইনটেইন করার চেষ্টা চালাচ্ছি।"

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বিষয়টাকে এখনও কোন গুরুত্ব দিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ।

দীর্ঘ মেয়াদের নেতিবাচক প্রভাব কাটানোর জন্য চিকিৎসার কোন প্রটোকল না থাকার কথা স্বীকার করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাসার মোঃ খুরশিদ আলম। তিনি বলেছেন, তারা একটি প্রটোকল তেরি করছেন।

"পোস্ট কোভিড নানান রকমের সিনড্রম হয়। সেগুলো অ্যাড্রেস করার জন্য সরকারি হাসপাতালগুলোতে একটা আউটডোর সার্ভিস আগে থেকেই ছিল। যে কেউ এই সার্ভিস নিতে পারে। আর স্পেশালি যদি কেউ আগে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে থাকে এবং ভাল হয়ে গিয়ে তারপর তার সমস্যা থাকে, সে ক্ষেত্রেও হাসপাতালগুলোর নন-কোভিড সার্ভিসে অ্যাড্রেস করা হচ্ছে।"

" তবে স্ট্রাকচার্ড ওয়েতে যে ফলোআপ করা- সেটা এখনও হচ্ছে না। আমরা অতি শিগগিরই এটার ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করতে যাচ্ছি। এটা ব্যাপারে একটা সুনির্দিষ্ট প্রটোকল যে কি কি সমস্যা থাকলে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে,আর কি কি সমস্যা নিজেরা অপেক্ষা করলে একটা সময়ে ভাল হয়ে যাবে-এটা আমরা তৈরি করছি।"

যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যত দ্রুত সম্ভব ফলোআপ চিকিৎসার ব্যবস্থাপনা বা প্রটোকল প্রয়োজন।

কিন্তু কতদিনে এই চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা বা প্রটোকল দেয়া সম্ভব হতে পারে, সেটা সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারছেন না কর্তৃপক্ষ।

ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা: শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কার - dainik shiksha ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা: শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা: শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কার - dainik shiksha ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা: শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কার অবন্তিকার আত্মহত্যা: সাতদিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্নের আশ্বাস জবি উপাচার্যের - dainik shiksha অবন্তিকার আত্মহত্যা: সাতদিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্নের আশ্বাস জবি উপাচার্যের হয়রানির প্রতিকার চেয়েও ফল পাননি অবন্তিকা, অভিযোগ মায়ের - dainik shiksha হয়রানির প্রতিকার চেয়েও ফল পাননি অবন্তিকা, অভিযোগ মায়ের নতুন শিক্ষাক্রম: শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট না পড়লে মিলছে না মূল্যায়ন - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রম: শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট না পড়লে মিলছে না মূল্যায়ন মূল্যায়ন বুঝলেও নৈপুণ্য অ্যাপে চ্যালেঞ্জের মুখে শিক্ষকরা - dainik shiksha মূল্যায়ন বুঝলেও নৈপুণ্য অ্যাপে চ্যালেঞ্জের মুখে শিক্ষকরা ‘পড়তে ও লিখতে’ শেখা প্রকল্প কেনো - dainik shiksha ‘পড়তে ও লিখতে’ শেখা প্রকল্প কেনো please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0042769908905029