নরসিংদীতে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কারাগারে বিশেষ সতর্কতা গ্রহণ করা হয়েছে। বন্দিদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এবং করোনা ভাইরাস থেকে নিরাপদে রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।
ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বন্দিদের সাথে তার পরিবারের বাবা-মা, স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
প্রত্যেক বন্দি সপ্তাহে একদিন সীমিত সময়ের জন্য সকাল ৯টা থেকে ১২টা এবং দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কথা বলার সুযোগ পাচ্ছেন। পাশাপাশি বন্দিদের স্বজনদের এই সময়ে তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ পুরোপুরি বন্ধ করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।
তবে এই সময় নতুন আসামি যদি কারাগারে প্রবেশ করে তাদের নিয়ে কিছুটা শঙ্কা রয়েছে। এদের প্রবেশের পরপরই ১৪ দিন আলাদাভাবে রেখে সুস্থতা নিশ্চিত করে সাধারণ ওয়ার্ডে তাদের রাখা হচ্ছে।
নরসিংদী জেলা কারাগারের জেল সুপার মো. নজরুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, কারাবন্দিদের পাশাপাশি কারাগারে থাকা স্টাফ ও কারারক্ষীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিভিন্ন পদক্ষেপের নেয়া হয়েছে।
এছাড়া সকল স্টাফ ও বন্দিদের প্রবেশের সময় মূল ফটকে ইনফ্রারেড থার্মোমিটার দিয়ে পরীক্ষা করে প্রবেশ করান হচ্ছে। করোনা ভাইরাস বিশ্বে ছড়ানোর পরেই এখানে সতর্কতা জারি করা হয়। ভেতরে ও বাইরে সবাকে সাবান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। শুরুতে কারাবন্দিদের সঙ্গে যারা দেখা করতে এসেছেন তাদেরও আমরা হাত মুখ ধুয়ে তারপর দেখা করতে দিয়েছি।
তিনি আরও জানান, বর্তমান এই ভাইরাসকালীন আমরা আপাতত কারাবন্দিদের সঙ্গে স্বজনদের সাক্ষাৎ বন্ধ করেছি। এতে করে কারাবন্দি, কারারক্ষী ও তাদের স্বজনরা নিরাপদ থাকবেন।
জেল সুপার নজরুল ইসলাম আরও জানান, কারা মসজিদের নামাজ আদায়েও সরকারি নির্দেশনা মানা হচ্ছে। আমাদের মেডিক্যাল টিম নতুন বন্দি যারা আসছেন তাদের চেকআপ করছেন তাদের কোনো উপসর্গ রয়েছে কিনা এ রোগের।
একইসঙ্গে ভেতরের সবাইকেও চেকআপের মধ্যেই রাখা হয়েছে। কারো কোনো উপসর্গ দেখা দিলে যা এ রোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদের দ্রুত চিকিৎসা ব্যবস্থার আওতায় আনা হবে। এছাড়া যেসব কারাবন্দিকে আদালতে নিয়ে যাওয়া ও নিয়ে আসা হয় তাদের মাস্ক পড়তে দেয়া হচ্ছে এবং তাদের যাওয়া ও আসার সময় সাবান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়ানো হচ্ছে।
তিনি জানান, পুরো কারাগারের ভেতরে ও বাইরে সব সময় অধিকতর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা হচ্ছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রেখে করোনা ডেঙ্গুসহ সব ভাইরাস থেকে কারাবন্দিসহ এখানকার সবার স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য চেষ্টা চলছে। আজ ১০ এপ্রিল পর্যন্ত এখানে কোনো করোনা রোগী পাওয়া যায়নি।