করোনা পরীক্ষায় এ মাসের মধ্যেই আরো ২০টি ল্যাব চালুর কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এজন্য যে সব ল্যাবে পিসিআর মেশিন আছে সেগুলোর তালিকা করে সক্ষমতা যাচাই করা হচ্ছে। নতুন ল্যাব বাড়ানোর বদলে সচল ল্যাবে আরটিপিসিআর মেশিন বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
দেশে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। রোগ শনাক্ত করতে চালু ল্যাবগুলোতে প্রতিদিন ৭ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে। তবে রোগের লক্ষণ থাকলেও অনেকেই নমুনা পরীক্ষা করাতে গিয়ে দীর্ঘসূত্রতার কবলে পড়ছেন বলে অভিযোগ আসছে। নমুনা পরীক্ষার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে তৈরি হচ্ছে দীর্ঘ লাইন।
করোনা পরীক্ষার জন্য দেশে এখন চালু আছে ৪১টি ল্যাব। পরীক্ষা বাড়াতে যে সব প্রতিষ্ঠানে আরটি পিসিআর মেশিন আছে, সেগুলোর সক্ষমতা যাচাই করা হচ্ছে।
ঢাকায় ডিএনএ সলিউশন ল্যাব, ল্যাবএইড হাসপাতাল, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল, আশুলিয়ার শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হাসপাতাল, সাভারের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজিতে ল্যাব চালুর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। আর ঢাকার বাইরে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল, কিশোরগঞ্জে সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল, ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিরাজগঞ্জে এম মনসুর আলী মেডিকেল, সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাব প্রস্তুত হচ্ছে।
একটি পিসিআর মেশিনে একবারে ৯৬টি নমুনা পরীক্ষা করা যায়। প্রক্রিয়া ও পরীক্ষায় সময় লাগে তিন থেকে পাঁচ ঘণ্টা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সচল ল্যাবে তিন শিফটে পরীক্ষার ব্যবস্থা ও নতুন মেশিন যুক্ত করলে দ্রুত নমুনা পরীক্ষার সক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব।
যক্ষ্মা পরীক্ষায় সারা দেশে ২১৯টি আরটি পিসিআর মেশিন আছে। প্রয়োজন হলে এ সব ল্যাবেও করোনা পরীক্ষার কথা ভাবছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।