চীনে মহামারি আকার ধারণ করা করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) বিশ্বজুড়ে মোট ২ হাজার ১২৬ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে চীনেই শুধু মারা গেছেন ২ হাজার ০২৯ জন।
বুধবারের পর নতুন করে মারা গেছেন ১০৮ জন। আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪৯ জন। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ১২০৯ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৫ হাজার ৭২৫ জন। ডিসেম্বরের পর এখন পর্যন্ত এই রোগ থেকে মুক্তি পেয়ে বাড়ি ফিরেছেন মোট ১৬ হাজার ৩৩০ জন।
চীনের শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানী ওয়াং চেন বৃহস্পতিবার বলেছেন, এই ভাইরাসটি ফ্লুর মতো স্থায়ী রোগে রূপ নিতে পারে। এ জন্য গোটা পৃথিবীকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এ রোগ কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে। তবে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসের পুরোনো রোগীদের ক্ষেত্রে মারাত্মক জটিলতা দেখা দিতে পারে। এটি মোড় নিতে পারে নিউমোনিয়া, রেসপিরেটরি ফেইলিউর বা কিডনি অকার্যকারিতার দিকে। পরিণতিতে ঘটতে পারে মৃত্যু।
আরও পড়ুন : ‘আমরা বাঁচতে চাই, দেশে ফিরতে চাই’
আরও পড়ুন : করোনা ভাইরাস বিশ্বের জন্য হুমকি : ডব্লিউএইচও
আরও পড়ুন : করোনা ভাইরাস বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে হটলাইন চালু
আরও পড়ুন : করোনা ভাইরাস : চিকিৎসা কী?
করোনাভাইরাস মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। লক্ষণগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মতো। কারও ক্ষেত্রে ডায়রিয়াও দেখা দিতে পারে।
এর লক্ষণ শুরু হয় জ্বর দিয়ে, সঙ্গে থাকতে পারে সর্দি, শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথা। সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। সাধারণ ফ্লুর মতোই হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়াতে পারে এ রোগের ভাইরাস।