করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি ও তাপ বিদুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। ছুটি শেষে সম্প্রতি চীন থেকে খনিতে ফিরে আসা ৫ চীনা কর্মকর্তাকে গত ১১ দিন ধরে খনি ভেতরের নিজস্ব হাসপাতালে বা আইসোলেশনে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। দিনাজপুরের সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল কুদ্দুস দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে,বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে চীনের প্রায় ৫ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করেন। তারা সম্পূর্ণ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অধীনে হওয়ায় তাদের ছুটিসহ যাবতীয় বিষয়াদি দেখাশোনা করে প্রতিষ্ঠানগুলো। ছুটি শেষে চীনের সুজু সিটি থেকে গত ২০ জানুয়ারি ৫ কর্মকর্তা-কর্মচারী খনিতে ফিরে আসেন। তাদের কাজে যোগদানের অনুমতি না দিয়ে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত নেয় খনির একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
দিনাজপুর সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল কুদ্দুস দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন,সম্প্রতি চীন থেকে আসা ৫ চীনা কর্মকর্তাকে কয়লা খনির অভ্যন্তরের হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। সেখানকার চিকিৎসকরা তাদের চিকিৎসা দিচ্ছেন। সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি সিভিল সার্জন কার্যালয়ে জানিয়েছেন। প্রয়োজন হলে এখান থেকে চিকিৎসক পাঠানো হবে। তবে তাদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের লক্ষণ পাওয়া যায়নি। সাধারণত করোনা ভাইরাস কারো শরীরে প্রবেশ করলে দুই সপ্তাহ পর লক্ষণ বোঝা যায়, তাই সে সময় পর্যন্ত তাদেরকে এই পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। এর মধ্যে লক্ষণ দেখা দিলে তাদেরকে সাথে সাথে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হবে। এজন্য দিনাজপুর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সকল ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।
এদিকে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির জনসংযোগ কর্মকর্তা ও উপ-মহাব্যবস্থাপক এ কে এম বদরুল আলম সাংবাদিকদের জানান, খনিতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সিএমসি-এক্সএমসির অধীনে চীনা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজ করেন। তাই তাদের যাবতীয় বিষয়াদি দেখাশোনা করেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ছুটিতে গেলে বা ফেরত আসলে খনি কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয় না। তাই বিষয়টি তার জানা নেই।
অপরদিকে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তত্তাবধায়ক প্রকৌশলী মো. ফজলুল হকের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন,তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রায় ৭০ থেকে ৮০জন চীনা শ্রমিক কর্মচারী কাজ করেন। আপাতত তাদের নিজ দেশে যাওয়া আসা বন্ধ আছে। এদের কারো মাঝে করোনা ভাইরাসের কোন লক্ষণ দেখা যায়নি। তিনি আরও জানান, কর্তৃপক্ষ সতর্ক অবস্থায় আছে,করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কর্মরত চীনা শ্রমিকদের ক্ষেত্রে কি সিদ্ধান্ত নেয়া হবে সেটির জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয়া হয়েছে।