করোনা ভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ার পর অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যাওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম খুব শিগিগরই শুরু হচ্ছে না। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। তারা শিক্ষার্থীদের কোনো ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে চান না।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো ধরনের প্রস্তুতি কিংবা সিদ্ধান্ত নেই। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, চলতি বছরের শেষের দিকে পরিস্থিতি বিবেচনা করে একটা সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস খোলার বিষয়ে ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে প্রশাসন। ঐ সভায় সারা দেশের করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে তারপর ঢাবির আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার পরামর্শ দিয়েছেন অংশগ্রহণকারীরা।
ক্যাম্পাস খোলার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় এমন একটা পরিস্থিতিতে খোলা হবে যখন শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জীবন এবং স্বাস্থ্যের জন্য কোনো ধরনের ঝুঁকি থাকবে না। হলকেন্দ্রিক এক ধরনের জীবনাচরণ নির্ধারণ করা হচ্ছে। খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে এটি তৈরি হয়ে যাবে।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ক্যাম্পাসে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা গণরুম। গণরুমে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা দুরূহ। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, কথিত গণরুম প্রথা বিলুপ্ত করে পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যবিধি তৈরি করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রভোস্ট কমিটির বৈঠক হয়েছে। অছাত্ররা হলে থাকতে পারবেন না বলে সিদ্ধান্তও হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ক্যাম্পাস খোলার আগে ছাত্রত্ব শেষ হওয়া শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ আবাসিক হলের প্রাধ্যক্ষদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যক্তিগত জিনিসপত্র নিয়ে হল ছাড়তে বলেছে প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটি।
প্রস্তুত নয় বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল :এদিকে ক্যাম্পাস খোলার পর শিক্ষার্থীদের চিকিত্সার কথা বিবেচনায় নিয়ে কোনো ধরনের প্রস্তুতি নেই প্রশাসনের। ফলে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফিরে এসে অসুস্থ হয়ে পড়ার পর তা সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে উঠবে। প্রস্তুতির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান মেডিক্যাল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ডা. সারওয়ার জাহান মুক্তাফী বলেন, আমাদের এখনো পর্যন্ত কোনো ধরনের প্রস্তুতি নেই।