করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি শনিবার শেষ হয়েছে। টানা ৬৬ দিনের ছুটি শুরু হয় গত ২৬ মার্চ। আজ রোববার থেকে সীমিত পরিসরে সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলছে। ১৫ জুন পর্যন্ত এভাবে অফিস খোলা থাকবে। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আজ থেকে চলবে গণপরিবহনও (বাস, লঞ্চ ও ট্রেন)। ছুটি প্রত্যাহারের পর অধিকতর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণে স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত সংশোধিত ১২টি নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
সংশোধিত স্বাস্থ্যবিধি সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধীন দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানসহ সকল সরকারি-বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে যথাযথভাবে পালনের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শনিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ প্রশাসন-১ শাখার উপসচিব খন্দকার জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে সংশোধিত নির্দেশনা জারি হয়।
সংশোধিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে- অফিস চালু করার পূর্বে অবশ্যই প্রতিটি অফিস কক্ষ/আঙিনা/রাস্তাঘাট জীবাণুমুক্ত করতে হবে। প্রতিটি মন্ত্রণালয়/বিভাগ/প্রতিষ্ঠানে প্রবেশপথে থার্মাল স্ক্যানার বা থার্মোমিটার দিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করে অফিসে প্রবেশ করাতে হবে। অফিস পরিবহনে অবশ্যই শতভাগ জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। যানবাহনে বসার ক্ষেত্রে তিন ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং সবাইকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। যাত্রার পূর্বে এবং যাত্রাপথে বারবার হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে।
প্রতিবার টয়লেট ব্যবহারের পর সাবান দিয়ে জীবাণুমুক্তকরণ নিশ্চিত করতে হবে। অফিসে কাজ করার সময় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। কর্মস্থলে সবাইকে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে এবং সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের করোনা প্রতিরোধে সাধারণ নির্দেশনাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি নিয়মিত মনে করিয়ে দিতে হবে এবং তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন কি না, তা মনিটর করতে হবে। ভিজিলেন্স টিমের মাধ্যমে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। দৃশ্যমান একাধিক স্থানে ছবিসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা নির্দেশনা ঝুলিয়ে রাখতে হবে।