করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা, হাসপাতালে সংক্রমণ রোধ এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য ইতোমধ্যে ৭১০ জন চিকিৎসক ও ৪৩ জন নার্সকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
রোববার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রতিটি জেলা থেকে দু’জন চিকিৎসক অর্থাৎ আবাসিক মেডিকেল অফিসার, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসাররা, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল, জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ঢাকা সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল, মহানগর জেনারেল হাসপাতাল, সাজেদা ফাউন্ডেশন হাসপাতাল, মিরপুর পরিবার পরিকল্পনা হাসপাতাল (লালকুঠি) এবং রিজেন্ট হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
এছাড়াও দেশের সব স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টদের কোভিড-১৯ পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহের জন্য ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান ও ইপিআই সার্ভিলেন্স টিমের মাধ্যমে সন্দেহজনক কোভিড-১৯ রোগীর বাড়ি গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করবেন। অনেকগুলো পিসিআর টেস্ট সেবাদানকারী নিকটস্থ বিভাগীয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল অথবা আইপিএইচ এ পাঠানোর ব্যবস্থা করবেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, দেশের জনগণকে সন্দেহজনক কোভিড-১৯ সংক্রমণের বিষয়ে স্বাস্থ্য বাতায়ন ১৬২৬৩ অথবা ৩৩৩, আইইডিসিআর এর হটলাইন (০১৯৪৪৩৩৩২২২,০১৬৫৫) এবং স্থানীয় হাসপাতালে কল করে অবহিত করতে অনুরোধ জানানো হয়। পাশাপাশি কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে না আসার অনুরোধ জানানো হয়। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আইইডিসিআর এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা প্রতিদিনের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে রোববার (২৯ মার্চ) বলেন, এ পর্যন্ত মোট ১ হাজার ১৮৫ জন ব্যক্তির কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হয়েছে। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে কোনো পজিটিভ রোগী পাওয়া যায়নি।
সব মিলিয়ে দেশে মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের। সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন ১৫ জন। চিকিৎসাধীন আছেন ২৮ জন।