করোনা ভাইরাস সংক্রমণে দুজনের মৃত্যু সন্দেহে পটুয়াখালী সদরের বহালগাছিয়া ও কালিকপুর এবং গলাচিপা উপজেলার যাদুয়া গ্রামের মোট পাঁচটি বাড়ি লকডাউন করেছে প্রশাসন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকেলে আব্দুর রশিদ (৬৫) নামে এক ব্যক্তি সর্দি, কাশিতে পটুয়াখালী সদর উপজেলার কালিকাপুর এলাকার মাতুবর বাড়ি সংলগ্ন একটি বাড়িতে মারা যান। এরপর ওই বাড়িটি লগডাউন করে উপজেলা প্রশাসন। করোনা ভাইরাসে মৃত্যু সন্দেহ করায় রোগ তত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ, ও গবেষণা ইনিস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এর নিয়ম মেনে ওই রাতেই জানাজা শেষে পটুয়াখালী সরকারি গোরস্থানে দাফন করা হয়। তার নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর এ পাঠানো হয়েছে।
এদিকে আজ রোববার সকালে বরিশাল শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ে (শেবাচিম) আইসোলেশন থাকা জাকির হোসেন (৪০) নামে এক ব্যক্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। জাকিরের বাড়ি পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের যাদুয়া গ্রামে।
গলাচিপা থানার ওসি আক্তার মোর্শেদ জানান, জাকির হোসেন কয়েকমাস যাবৎ ফুসফুস ক্যান্সারে ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার সদর উপজেলার বহালগাছিয়ায় শ্বশুরবাড়ি যান তিনি। সেখানে থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়লে শনিবার তাকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে বরিশাল শেবাচিমে চিকিৎসা নেয়ার নির্দেশনা দিলে ওইদিনই তাকে শেবাচিমে নেয়া হয় এবং করোনা ইউনিটের আইসলোশনে রাখা হয়। রোববার সকালে তার মৃত্যু হয়।
শেবাচিমের পরিচালক ডা. জাকির হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ধারণা করছি তিনি করোনা আক্রান্ত। তার নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর এ পাঠানো হয়েছে। করোনায় মৃত ব্যক্তিদের যে নিয়মে জানাজা-দাফন করা হয় মৃত জাকিরকে সেভাবেই জানাজা-দাফন করা হয়েছে।
এদিকে জাকিরের শ্বশুর বাড়ি বহালগাছিয়া ও নিজ যাদুয়া গ্রামের বাড়িসহ পার্শ্ববর্তী আরও দুটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শাহ্ মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘জাকিরের বাড়িসহ পাশের আরও দুটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। আইইডিসিআর এর রিপোর্ট পজেটিভ হলে পুরো গ্রাম লডকডাউন করা হবে। বর্তমানে ওই এলাকার মানুষকে ঘরে নিরাপদে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
লকডাউনকৃত বাড়ির বাজারসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।