দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত আরও ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশের নতুন করে আরও ২ হাজার ৬৯৫ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত মোট ৭৪৬ জন আক্রান্ত রোগী মৃত্যুবরণ করেছেন। মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৫৫ হাজার ১৪০ জন।
বুধবার (৩ জুন) নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ৫১০ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। ৫০ ল্যাবের নমুনা পরীক্ষার তথ্য উপস্থাপন করা হয়। এখন পর্যন্ত মোট পরীক্ষা হয়েছে ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৫৮৩ টি।
তিনি জানান, আরও ৪৭০ জন গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফিরেছেন। এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১১ হাজার ৫৯০ জন।
তিনি জানান, দেশে মোট শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২২ দশমিক ০২ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৫ শতাংশ। ৩ জুন শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করা ৩৭ জনের ২৮ জন পুরুষ ও ৯ জন নারী। তাদের মধ্যে ৪ জনের বয়স ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে, ১২ জনের বয়স ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে, ১২ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৫ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের, ৩ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।
তিনি বলেন, করোনা আক্রান্ত রোগীকে আলাদা কবরস্থানে দাফন করতে হবে এমন কোন কথা নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, আক্রান্ত রোগীর মৃতদেহ থেকে ভাইরাস ছড়ায় না। তিন ঘণ্টা পর মৃতদেহে ভাইরাসের কার্যকারিতা থাকেনা। তাই, বডি ব্যাগ বা পলিথিনে ভরে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পারিবারিক কবরস্থানে করনা আক্রান্তদের মৃতদেহ দাফন করা যাবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে তিনি সকলকে ঘরে থাকার এবং কিছুক্ষণ পর পর নিয়মিত সাবান পানিতে হাত ধোয়ার পরামর্শ দেন। অতি প্রয়োজন না হলে ঘর থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। এ ছাড়া ঘর থেকে বের হতে হলে অবশ্যই মাস্ক ও গ্লাভস ব্যবহার করার পরামর্শ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। করোনা সংক্রমণ রোধে তিনি বেশি বেশি আমিষ জাতীয় খাবার খাবার পরামর্শ দেন। এছাড়া ভাইরাস সংক্রমণ রোধে ধূমপান না করার পরামর্শ দেন।