করোনায় শিক্ষা ব্যবস্থায় এসেছে অনাকাক্সিক্ষত ক্রান্তিকাল - দৈনিকশিক্ষা

করোনায় শিক্ষা ব্যবস্থায় এসেছে অনাকাক্সিক্ষত ক্রান্তিকাল

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

করোনা দুর্যোগে উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ সূচকগুলো তেমন বিপন্নতার শিকার না হলেও জাতির মেরুদণ্ড শিক্ষা ব্যবস্থায় এসেছে অনাকাক্সিক্ষত ক্রান্তিকাল। অগ্রগতির বিভিন্ন সূচকে স্থবিরতার আকাল কাটাতে গতিশীল কার্যক্রম শুরু করা সময়ের অনিবার্য দাবি। অর্থনীতি তার ধীরগতির চাকাকে নতুন উদ্যমে এগিয়ে নিচ্ছে। মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) জনকণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়।

নিবন্ধে আরও জানা যায়, করোনা সঙ্কট স্বাস্থ্য খাতকে নতুন মাত্রা দিয়েছে। ধীরগতিতে হলেও মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ার দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। করোনার প্রবল ঢেউ সামলানোর পর আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও মৃত্যুঝুঁকি কমার স্বস্তি মানুষকে আশ্বস্ত করেছে। সুস্থতার হার ক্রমান্বয়ে বেড়ে যাওয়ার দৃশ্যও আমাদের সহনীয় অবস্থায় নিয়ে যাচ্ছে। দেশের অন্যান্য সূচক খাদ্য, বস্ত্র এবং বাসস্থানেও নতুন প্রকল্প তৈরি করে অর্থনীতিকে এগিয়ে নেয়ার পদক্ষেপ আমাদের কর্মচাঞ্চল্য বাড়িয়ে দিয়েছে। সমস্ত সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পেশার ক্ষেত্রকে অবারিত করতেও জোর কদমে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সবচেয়ে নাজুক অবস্থা দেশের ভাবী কারিগররা। যাদের সিংহভাগই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত।

পবিত্র শিক্ষার আঙিনাটি আজ অবধি শিক্ষার্থীদের কলকাকলিতে মুখরিত হতে ব্যর্থ। সেই প্রাইমারী থেকে মাধ্যমিক, উচ্চ-মাধ্যমিক শেষ অবধি উচ্চ শিক্ষার সমৃদ্ধ প্রাঙ্গণটি করোনার ছোবলে এমনই নাকাল যেখানে ছাত্রছাত্রীদের সম্মিলন কল্পনায়ও আসছে না। সেই ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সম্ভাবনা এই বছরে নেই বললেই চলে। পুরো একটি বছর নষ্ট করার সুযোগও তেমন নেই। সঙ্গত কারণে ভাবতে হয়েছে অগণিত ছাত্রছাত্রীর আগামীর সম্ভাবনার দিনগুলোর বিষয়ে। বিশেষ করে প্রাইমারী থেকে মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের সমাপনী পরীক্ষার কোন আভাস মেলানো যাচ্ছে না। এই বছর শুধু মার্চ মাসে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও অন্য কোন পরীক্ষায় মেধা ও মনন যাচাইয়ের সুযোগ সম্ভব হয়নি। আমরা নবেম্বরের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছি। যখন সমস্ত সমাপনী পর্ব চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে যায়। পরীক্ষার আগে বিবেচনায় আসা সঙ্গত শ্রেণীপাঠ ও পাঠ্যক্রম। সেখানেও এক অনিশ্চয়তার কবলে সংশ্লিষ্টরা। অনলাইনভিত্তিক শ্রেণীপাঠে অনেক ক্ষুদে শিক্ষার্থী তা গ্রহণ করতে পারেনি।

তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণ তেমন অবস্থায় আগে শিক্ষার্থীদের পড়তে হয়নি। ফলে প্রযুক্তির এই পদ্ধতি বুঝতে শুধু শিক্ষার্থীই নয়, শিক্ষকদেরও অনুধাবন করতে সময় লেগেছে। এছাড়া সারাদেশে প্রযুক্তিগত সম্প্রসারণও সব সঙ্কট অতিক্রম করতে পারেননি। বিদ্যুত বিভ্রাট তো আছেই। গ্রামে-গঞ্জে, প্রত্যন্ত অঞ্চলে যাদের সরকারী প্রণোদনায় প্রাইমারী শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে, সেসব হতদরিদ্র শিক্ষার্থীদের ঘরে টিভি পর্যন্ত নেই। আবার যাদের ঘরে টিভি আছে তাদের সংসদ টিভি আসে না তথ্যপ্রযুক্তির অপর্যাপ্ততায়। ফলে অনলাইনভিত্তিক শ্রেণীপাঠে অনেক শিক্ষার্থী বঞ্চিত হয়েছে। আবার যারা এই পাঠক্রমে সংযুক্ত হতে পেরেছে তারা সেভাবে মনোযোগী হতে পারেনি। তেমন তথ্যও উঠে এসেছে ব্র্যাকের এক জরিপে। ফলে নির্দিষ্ট শ্রেণীর পুরো পাঠক্রম কতখানি সম্পন্ন হয়েছে তাও বিবেচনার দাবি রাখে। এমন সব বিপন্নতার মাঝেও শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ হওয়ার আনুষঙ্গিক কার্যবিধি। সেখানেও যথার্থ কার্যক্রম অনিশ্চয়তার কবলে পড়লে পরীক্ষা ছাড়াই প্রমোশন দেয়ার পরামর্শ আসে।

সেখানে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরাই কিছু মূল্যায়ন পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের যাচাই-বাছাই করবেন, যা কোনভাবেই সশরীরে উপস্থিত থেকে পরীক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে তুলনীয় নয়। মেধা ও মনন যাচাইয়েও পড়বে অবর্ণনীয় অনিশ্চয়তা। তার পরেও এভাবে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী ক্লাসে তুলে দেয়া হবে, যারা আধুনিক ও স্বপ্নের বাংলাদেশের আগামী দিনের ভবিষ্যত। এখানেও কিছু বিবেচনা যোগ করা হয়। নতুন ক্লাসের শুরুতেই আগের শ্রেণীর পাঠক্রমকে সন্নিবেশিত করা প্রাসঙ্গিক বিষয়। তবে এখানে অকৃতকার্য ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা একেবারে শূন্যের কোঠায়। যা অতীতের সমস্ত শিক্ষা কার্যক্রমকে দুঃখজনকভাবে অতিক্রম করে যায়। পিএসসি এবং জেএসসি পরীক্ষাও বাতিলের পর্যায়ে। সেখানেও আগের ফলাফলকে বিবেচনায় আনার কথা বলা হয়েছে। তবে দুঃখজনক হলেও এটাই সত্যি যে, বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই ধারাবাহিক ফলাফল করতে পারে না। ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সেটা আরও কঠিন। ফলে মূল্যায়ন পদ্ধতিতে পরবর্তী ক্লাসে উত্তরণ সেটাও প্রশ্নবিদ্ধ থেকেই যায়। তবে এই মুহূর্তে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিকল্প কোন রাস্তাও খুঁজে পায়নি। ফলে এই মূল্যায়ন পদ্ধতিতেই তাদের শ্রেণীমান যাচাইয়ের আওতায় আনা ছাড়া অন্য কোন নির্দেশনা খুঁজে পাওয়াও দুষ্কর।

যারা এসএসসি পাস করেছে তাদের অনলাইনে কলেজে ভর্তি হওয়ার চিত্রও দৃশ্যমান হয়েছে। তবে যারা বর্তমানে একাদশ শ্রেণীতে তারা কিভাবে পরবর্তী ধাপ পার হবে অর্থাৎ দ্বাদশ শ্রেণীতে ওঠাই শুধু নয়, আরও কঠিনভাবে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে বিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক ক্লাসও অত্যন্ত জরুরী, যা পরীক্ষায় উচ্চ মানের ফল আনতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে হাতে-কলমে শিক্ষা প্রদানে ব্যবহারিক ক্লাসও শিক্ষা পাঠক্রমে অনবদ্য অবদান রাখে। যেখান থেকে দেশের ভাবী চিকিৎসক, প্রকৌশলীসহ মানসম্পন্ন বিজ্ঞানী তৈরিতে অবিস্মরণীয় ভূমিকা থাকে। এসবের অনুপস্থিতিতে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর পাঠক্রম শেষ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া দুরূহ ব্যাপার। তার পরেও তেমন কার্যক্রমেই পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাকে চালিত করার নির্দেশনা ও পরামর্শ আসছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে। সমাজের বিশিষ্টজন হরেক রকম প্রশ্নের অবতারণা করলেও অন্য কোন যথার্থ পথ খুঁজে দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। আর উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড কোন পরীক্ষা ছাড়াই সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের কৃতকার্য হিসেবে বিবেচনায় এনেছে। সেখানে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলকেই সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। যদিও মাধ্যমিকে যারা ভাল কিংবা খারাপ করেছে তারা সবাই উচ্চ মাধ্যমিকে একই ফল করত কিনা তাও প্রশ্নবিদ্ধ থেকেই যায়।

পরবর্তীতে সঙ্গত কারণে প্রাসঙ্গিকভাবেই চলে আসে উচ্চ শিক্ষায় অনুপ্রবেশের বিষয়। এটা মনে হয় সবচেয়ে কঠিন এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। জীবন গড়ার নতুন স্বপ্নে লক্ষ্য নির্ধারণেও প্রাসঙ্গিক বলয়টি কোনভাবেই উপেক্ষণীয় নয়। ভর্তি পরীক্ষায় বসতে যাওয়াও এক প্রকার লড়াই। একে ভর্তি না বলে অনেকে ভর্তিযুদ্ধ বলে থাকেন, যা মূলত উচ্চ মাধ্যমিক বোর্ড পরীক্ষার ফলাফল ছাড়াও পরীক্ষায় মেধা ও মনন যাচাইকে অত্যধিক আমলে নিতে হয়। যোগ্যতম শিক্ষার্থীরাই উচ্চ শিক্ষার পাদপীঠে তাদের পছন্দসই বিষয়ে ভর্তির সুযোগ পায়। এবার সেখানেও এসেছে এক অনাকাক্সিক্ষত স্থবিরতা। ভর্তি কার্যক্রম তা আবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণেই সেটা যে কিভাবে অনুষ্ঠিত হবে তাও সময়ের বিবেচনায়। প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল অনলাইন কার্যক্রমে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষায় সংশ্লিষ্টদের বসতে হবে। সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নতুন সিদ্ধান্ত জানিয়েছে অনলাইন নয়, সরাসরি হলে পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মেধা ও মনন যাচাই করা হবে। বিভাগীয় শহরগুলোতে কেন্দ্র স্থাপন করে এই পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটি। বিকেন্দ্রীকরণ ব্যবস্থায় সারাদেশের বিভাগীয় শহরে কেন্দ্র তৈরি ছাড়াও মূল্যায়ন নম্বর ২০০ থেকে ১০০-তে নামানোর পরামর্শ এসেছে সংশ্লিষ্ট কমিটির কাছ থেকে।

সব বিভাগীয় শহরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেই পরীক্ষার্থীদের বসানো হবে। অনলাইনে পরীক্ষা নেয়ার কথাও সম্মিলিত উপাচার্যদের বৈঠক থেকেই আসে। ১ দিনের মাথায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তেমন সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে নতুন কার্যক্রম ঘোষণা দেয়। বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কিভাবে অন্য পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেবে তাও বিবেচ্য বিষয়। এখানেও নতুন নির্দেশনা আসতে পারে। এমনটি হলে মেধা ও মনন যাচাইয়ের সুযোগটি তার মর্যাদায় অক্ষুণ্ণ থাকে। উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী থেকে উচ্চ শিক্ষায় যে অভিগমন সেখানেই প্রচ্ছন্ন হয়ে থাকে দেশ গড়ার নতুন সম্ভাবনা, যার গুরুত্ব অপরিসীম দেশীয় এবং বৈশ্বিক পরিম-লেও। চিকিৎসক, প্রকৌশলী, বিজ্ঞানী, বিশেষজ্ঞ এবং গবেষক তৈরিতে উচ্চ শিক্ষার যে সম্প্রসারিত বলয় তার ভিত যদি নড়বড়ে হয় তাহলে জাতির মেরুদ- শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় অশনি সঙ্কেত পড়তে সময় লাগবে না। সুতরাং গভীর অন্তর্দৃষ্টি এবং সম্প্রসারিত জ্ঞানগর্ভ চিন্তায় অনুধাবন করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ব্যাপারটি একেবারে আলাদা, সেখানে কোন ধরনের গাফিলতি এবং হঠকারী সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্টদের জীবনে ভিন্ন মাত্রায় প্রভাব ফেলতে পারে।

জাতির ভবিষ্যত গঠন প্রক্রিয়ায় যারা নিয়ামক শক্তির ভূমিকায় নামবে তাদের শুরু করা পাঠ্যক্রমেও থাকবে সচ্ছতা, যোগ্যতা এবং মেধা ও মননের অবিমিশ্র যোগসাজশ, যা সরাসরি ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের মাধ্যমেই সম্ভব। সামাজিক দূরত্ব আর স্বাস্থ্যবিধিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে উচ্চ শিক্ষার ভর্তি কার্যক্রম সারাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরগুলোতে অনুষ্ঠিত হলে কোন অসুবিধাই থাকে না। বিশ্ববিদ্যালয় আঙিনা বৃহৎই শুধু নয়, বিভিন্ন ভবনও আকারে সম্প্রসারিত। ফলে করোনা সংক্রমণ বাড়ার তেমন সুযোগ না থাকারই কথা। প্রাইমারী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রমে যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তার থেকে অপেক্ষাকৃত ভাল কোন নির্দেশনা কিংবা পরামর্শ থাকলে তা অবশ্যই বিবেচনায় রাখা সঙ্গত। তেমন সম্ভাবনার অনুপস্থিতিতে বর্তমান সিদ্ধান্তই হয়তবা বহাল থাকবে।

যদিও সেটা শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ফলদায়ক হবে কিনা তাও সময়ের হাতে ছেড়ে দেয়া ছাড়া কোন উপায় নেই। এখানে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিলেও কিছু দাম তো দিতে হবে সংশ্লিষ্টদের। মেধা ও মননের যে দৃশ্যমান প্রতিযোগিতা তা শিক্ষার্থীদের জন্য নিজেকে সফল করে তোলার অনন্য উপায়। এমনিতে করোনা সঙ্কট মানুষের মনোজগতে যে অপ্রত্যাশিত স্থবিরতা তৈরি করেছে সেখানে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। যারা দেশ ও নিজেকে তৈরি করতে যথাসর্বস্ব সমর্পণ করে, সেখানে অকারণ ও অহেতুক বিপন্নতায় মনোবল ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কাকেও উড়িয়ে দেয়া যায় না। তবে সবচেয়ে অসহনীয় অবস্থায় এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণে অপেক্ষমাণ অগণিত শিক্ষার্থী। প্রায় সাড়ে তেরো লাখেরও বেশি। দেশ ও জাতির এমন দুঃসহ ক্রান্তিলগ্নে সমাজের বিশিষ্টজনদের সঠিক নির্দেশনা ও পরামর্শ একান্ত জরুরী, যা অযাচিত সঙ্কট দূরীভূত করে নতুন আশার আলোয় সংশ্লিষ্টদের জীবনকে নব সম্ভাবনায় এগিয়ে নেবে। দেশ ও জাতি পাবে এক অনন্য কার্যক্রম, যা আগামীর বাংলাদেশকে নব উদ্যোমে সামনে চলার পথে সমস্ত বাধা-প্রতিবন্ধকতাকে অপসারণ করবে। তেমন মঙ্গল বার্তায় যেন সবাই নতুন করে গড়ে ওঠার প্রেরণা পায়।

লেখক : নাজনীন বেগম, সাংবাদিক

উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ ও ‘বিশ্ব বই দিবস’ - dainik shiksha স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ ও ‘বিশ্ব বই দিবস’ শিক্ষার মান পতনে ডক্টরেট লেখা বন্ধ জার্মান পাসপোর্টে - dainik shiksha শিক্ষার মান পতনে ডক্টরেট লেখা বন্ধ জার্মান পাসপোর্টে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0085229873657227