কর্মকর্তাদের দ্বন্দ্ব : বড়াইগ্রামে প্রাথমিক শিক্ষায় অচলাবস্থা - Dainikshiksha

কর্মকর্তাদের দ্বন্দ্ব : বড়াইগ্রামে প্রাথমিক শিক্ষায় অচলাবস্থা

বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি |
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা শিক্ষা অফিসের বিভিন্ন অব্যবস্থাপনায় উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষাঙ্গনে চরম অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থার জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসার এবং শিক্ষা কমিটির সভাপতি পরস্পরের প্রতি দোষারোপ করছেন। এছাড়া নিয়মিত পরিদর্শন না করার অভিযোগও রয়েছে সহকারী শিক্ষা অফিসারদের বিরুদ্ধে। ফলে বিভিন্ন উন্নয়ণ মূলক কাজ এবং শিক্ষার মান ঠিক থাকছে না। 
 
উপজেলা শিক্ষা কমিটির প্রতিমাসে সভা করার কথা থাকলেও গত ৫ মাসে কোন সভা হয়নি। বছরের মার্চ মাসের মধ্যে বদলি আবেদন নিষ্পত্তির বিধান রয়েছে। কিন্তু সভা না হওয়ায় মার্চের শেষ সপ্তাহে এসেও এবারের করা ১০টি আবেদনের কোন সুরাহা হচ্ছে না। আবার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির (এসএমসি) মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, শিক্ষা কমিটির সভা না হওয়ায় নতুন কমিটির অনুমোদন করানো যাচ্ছে না। 
 
উপজেলার ৯৬টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ৪টি ক্লাসস্টার/ বিদ্যালয় গুচ্ছে ভাগ করে চারজন সহকারী শিক্ষা অফিসারকে নিয়মিত পরিদর্শনের দায়িত্ব দেওয়া আছে। এর মধ্যে পরিদর্শনের গাফিলতির সুযোগে পাঁচবাড়িয়া ক্লাসস্টারের (বিদ্যালয় গুচ্ছ) লক্ষাচামারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন মাসের অধিকাংশ সময় অনুপস্থিত থেকেই বেতন নিচ্ছেন নিয়মিত। অপরদিকে সদর ক্লাসস্টারের (বিদ্যালয় গুচ্ছ) মাঝগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়েল প্রধান শিক্ষক হাসিনা বানুর নামে স্থানীয়দের হাজারও অভিযোগ। কিন্তু আজ অবধি কোন পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
 
এ বিষয়ে শিক্ষা অফিসার আকলিমা খানম বলেন, আমি শারীরিক ভাবে অসুস্থ্। সহকারী শিক্ষ অফিসারদের নিয়ে ভাল মতই অফিস চালানোর চেষ্টা করছি। শিক্ষা কমিটির সভা করারও চেষ্টা করছি। কমিটির সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান স্যারের সাথে সভার তারিখের অমিল হওয়ায় সভা করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বলেন, সভার তারিখ করে সভাপতিকে জানাতে গেলে তিনি তারিখ বদলে দেন। তখন অন্যান্য সদস্যরা আবার সভাপতির তারিখে সময় করতে পারেন না ফলে সভা হচ্ছে না। মার্চের মধ্যে সভা না করলে বদলি, এসএমসি গঠন হচ্ছে না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বিষয়টা নিয়ে আমিও বিপদে আছি। আমি কাউকেই কিছু বলতে পারছি না, আবার কিছু করতেও পারছি না। আসলে অসুসস্থতার কারণে কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি হচ্ছে।
 
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, আমি তাদেরকে ৫টি তারিখ দিয়েছি, তারা সভা করতে পারেনি। আসলে অদক্ষ শিক্ষা অফিসারের কারণেই এমনটা হচ্ছে। তার অদক্ষতার কারণেই অব্যবস্থাপনায় চলছে শিক্ষা অফিস। তিনি বলেন, ইতিপূর্বে গোটা শিক্ষা কমিটির সভা জাল করে শিক্ষক বদলির অভিযোগ আছে বর্তমান শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে।
জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.003781795501709